মহিলাদের অনিয়মিত মাসিক হলে কি করবেন!
অনিয়মিত মাসিক হলে কি করবেন!অনিয়মিত ঋতুস্রাব নারীদের নিকট পরিচিত বিষয়। নারীদের মধ্যে অনেকেই অনিয়মিত মাসিক ও ঋতুস্রাব সমস্যায় ভোগেন। অনিয়মিত মাসিক ও ঋতুস্রাব একটি মেয়েলি সমস্যা৷ মাসিক সাধারণত ২১ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে হয়৷ অবশ্য কখনও কখনও দুই একদিন আগে পিছে হতে পারে৷ যদি ২১ দিনের আগে অথবা ৩৫ দিনের পর হয় তবে এটাকে অনিয়মিত মাসিক বলা হয়৷ যৌবনের প্রারম্ভে বা যৌবনের
শেষ পর্যায়ে এরকম সমস্যা দেখা দেয়৷
কারণ সমূহঃ
স্ত্রী (ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন) হরমোনের ভারসাম্যের অভাবে।জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল হঠাৎ খাওয়া বন্ধ করলে।
জননাঙ্গের যক্ষা, গণোরিয়া, সিফিলিস, এইডস, ডায়াবেটিস প্রভৃতির কারণে হতে পারে৷
সন্তান প্রসবের পর পরও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মানসিক কারণ।
হঠাত্ অস্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধি।রক্তস্বল্পতা।
লক্ষণ সমূহঃ
মাসে ২/৩ বার মাসিক বা ঋতুস্রাব হতে পারে।শুরু হওয়ার ১/২ দিন পরই শেষ হয়ে যায় এবং কয়েকদিন পর আবার শুরু হয়।
একনাগাড়ে অনেকদিন ধরে চলতে পারে।
কোনো কোনো সময় স্বল্পকালীন মাসিক দেখা যায় এবং পরবর্তীতে মাসিক শুরু হলে তা প্রায় ২/৩ মাস পর্যন্ত চলতে থাকে।
রক্তস্বল্পতা বা এনিমিয়া দেখা দিতে পারে।
ক্ষুধামন্দা ও শরীর দুর্বল বোধ হয়।
মেজাজ খিটখিটে ও অশ্বস্তি বোধ।
রুগ্নতা ও সাংসারিক অশান্তি দেখা দিতে পারে৷
জটিলতা সমূহঃ
সন্তান ধারণে অক্ষমতা বা বন্ধ্যাত্ব দেখা যেতে পারে।অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ হতে পারে।
টিউমার ও ক্যান্সারজনিত হলে সময়মতো উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে মৃত্যুও হতে পারে।
চিকিত্সা সমূহঃ
রোগীকে সম্পূর্ণরূপে বিশ্রামে থাকতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।মানসিকভাবে আস্বস্ত হতে হবে।
রক্তস্বল্পতা দেখা দিলে রক্ত দিতে হবে।
পুষ্টিকর খাবার ও হালকা ব্যায়াম করতে হবে।
পরামর্শ সমূহঃ
এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে অস্থির না হয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে৷রোগীকে মানসিকভাবে আশ্বস্ত করতে হবে৷
No comments:
Post a Comment