কুরআনুল কারীমে নবীয়ে রহমতের (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) উপর দুরূদ পড়ার নির্দেশ:
মহান আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন ।
﴿اِنَّ اللهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّوْنَ عَلىٰ النَّبِيِّ- يَا اَيُّهَا
الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوْ تَسْلِيْمًا﴾
{الاحزاب:٥٦ }
নিশ্চয় আল্লাহ এবং তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর উপর দুরূদ পড়েন। হে মু’মিনগণ!
তোমরাও তাঁর প্রতি দুরূদ পড়ো এবং পরিপূর্ণ সালাম প্রেরণ করো। (সূরা আহযাব,
আয়াত- ৫৬)
ইমাম ইবনে কাসীর (রহ.) এর অভিমত:
অত্র আয়াতের উদ্দেশ্য হলো, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর বান্দাহদেরকে তাঁর
প্রিয়তম বান্দা ও নবীর (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) মালায়ে আ’লায় তাঁর
নিকট যে মর্যাদা রয়েছে তা জানিয়ে দিয়েছেন। কেননা তিনি (রাব্বুল আলামীন)
তাঁর নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতাদেও সামনে তাঁর (সাল্লাল্লাহু আলায়হি
ওয়াসাল্লাম) গুণ বর্ণনা করেন। আর সকল ফেরেশতা নবীজী (সাল্লাল্লাহু আলায়হি
ওয়াসাল্লাম) এর উপর দুরূদ পড়েন। অতঃপর মহান আল্লাহ তা’আলা নি¤œ জগতবাসীকে
তাঁর প্রিয় হাবীবের উপর দুরূদ ও সালাম প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে
উচ্চজগতবাসী ও নিজগতবাসীর পক্ষ থেকে নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলায়হি
ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি প্রেরিত গুণগান একত্র হয়ে যায়।
(তথ্যসূত্র: তাফসীরুল কুরআনিল আযী-ম, খন্ড-০৩,পৃ.৪৩২)
** এখানে একটি সুক্ষ্ম তত্ত্ব অনুধাবন করা প্রয়োজন। আর তা হলো মহান আল্লাহ
এক, একক। তাঁর কোন শরীক নেই। তাঁর কোন কর্মকান্ডে কাউকে তিনি শরীক করেন না।
যেমন- সৃষ্টিকরা, রিযিক দেয়া, মৃত্যুদান এবং পুনরুজ্জীবিত করা ইত্যাদি
একমাত্র আল্লাহরই শান, বান্দাহ এগুলো কখনো করতে পারে না। কিন্তু যখনই
প্রাণের নবী নুরের রবি হুযুর সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের মর্যাদার
কথা আসে, সম্মানের কথা আসে তখন মওলায়ে কায়েনাত মহান রাব্বুল আলামীন নিজেই
বলে উঠেন আমি লা-শরীক মালিক নিজেই শরীক হয়ে গেলাম। আমার মাহবুবের মর্যাদা
র্চচায় আমি স্বয়ং আপন সৃষ্টিকুলের সাথে অংশ গ্রহন করি। যেমনটি মহান আল্লাহ
উর্পযুক্ত আয়াতে বলেন-“নিশ্চয় আল্লাহ এবং তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর উপর দুরূদ
পড়েন”। এখানে আরো একটি বিষয় বুঝা প্রয়োজন যে, আল্লাহ বলেছেন, “তাঁর
ফেরেশতাগণ”। অপর স্থানে আদমকে সিজদা করার ব্যাপারে আল্লাহর ঘোষণা।
اُسْجُدُوْا لْاٰدَمَ فَسَجَدَ الْمَلَائِكَةُ كُلُّهُمْ اَجْمَعِيْنُ
“তোমরা আদমকে সিজদা কর, অতঃপর সকল ফেরেশতা আদমকে সিজদা করল”। দেখুন, এখানেও
ফেরেশতার কথা আছে এবং দুরূদের আয়াতেও আছে। কিন্তু দুরূদের বেলায় আল্লাহ
“তাঁর ফেরেশতাগণ” উল্লেখ করেছেন, আর আদমের সিজদার বেলায় শুধু “ফেরেশতাগণ”
উল্লেখ করেছেন। এরূপ কেন করলেন? এর উত্তর- যখনই আল্লাহ তাঁর প্রিয় মাহবুবের
মর্যাদা, সম্মান নিয়ে আলোচনা করেন, তখন এ আলোচনায় সকল ফেরেশতাকে তিনি
নিজের সাথে সম্পর্কিত করে মর্যাদার আসনে সমাসীন করেন। যদিও বা সকল ফেরেশতা
আল্লাহরই তবুও নিজের দিকে সম্পর্কিত করেননি। যখনই আপন মাহবুবের আলোচনা
উপস্থিত তখন বলে উঠলেন “তার ফেরেশতা”। সুবহানাল্লাহ!
এভাবে প্রিয়নবীর (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) আগমনে ও তাঁর প্রতি ঈমান
আনয়নের প্রতিশ্রুতি গ্রহনের সম্মেলনে সকল নবীদের সাথে মহান প্রভু নিজেকেও
শরীক করে নেন। যেমন কোরআন ঘোষণা করছেন
(وَاِذْ اَخَذَ اللهُ مِيْثَاقَ النَّبِيِّنَ لِمَا اَتَيْتُكُمْ مِنَ
كِتَابٍ وَ حِكْمَةٍ ثُمَّ جَاۤءَكُمْ رَسُوْلٌ مُصَدِّقٌ لِّمَا مَعَكُمْ
لِتُؤمِنُنَّ بِهِ وَلَتَنْصُرُنَّهُ قَالَ أَاَقْرَرْتُمْ وَاَخَذْتُمْ
عَلىٰ ذَلِكُمْ اِصْرِيْ -قَالُوْاۤ اَقْرَرْنَا- قَالَ فَاشْهَدُوْا
وِاَنَا مَعَكُمْ مِنَ الشَّاهِدِيْنَ)
আল্লাহ তা’আলা যখন নবীগণের নিকট হতে অঙ্গীকার গ্রহন করলেন যে, আমি
তোমাদেরকে কিতাব ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের মধ্য হতে যা কিছু দান করেছি, অতঃপর
তোমাদের নিকট এমন একজন রাসূল আগমন করবেন, যিনি তোমাদের সঙ্গে যা আছে তার
সত্যায়ন কারী। তোমরা অবশ্যই উক্ত রাসূলের উপর ঈমান আনবে এবং তাঁকে সহযোগীতা
করবে।
আল্লাহ তা’আলা আরো বলেন- তোমরা কি স্বীকার করেছো এবং আমার এ শর্ত মেনে
নিয়েছো? তাঁরা বললো- আমরা স্বীকার করেছি এবং মেনে নিয়েছি। তিনি আরো বলেন
যে, তবে তোমরা সাক্ষী থাকো, আমিও তোমাদের সাথে সাক্ষীগণের অন্তর্ভূক্ত
রয়েছি”। (সূরা আলে ইমরান, পারা-৩, আয়াত-৮১)
“তফসীরে কবীর, তফসীরে কুরতুবী ও খাসায়েসুল কুবরা” তে অত্র আয়াতের বিশ্লেষণে
বিবৃত হয়েছে যে, আল্লাহ তা’আলা সকল নবীকে রূহ জগতে একত্রিত কওে একটি
সম্মেলন আহবান করেন। সেখানে হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) এর
আগমনের ব্যাপারে আলোচনা, তাঁর প্রতি দুরূদ ও সালাম প্রেরণের আহবান ও
সহযোগীতা করার প্রতিশ্রুতি নেন।
প্রিয় ইসলামী ভাই ও বোন! বুঝা গেল যে, প্রিয়নবী হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলায়হি
ওয়াসাল্লাম) এর শান, মর্যাদা ও গুনাগুণ বর্ণনায় মহান প্রভু স্বয়ং শরীক
থাকেন। আর কেনই বা থাকবেন না? তিনি নিজেই তো ঘোষণা দেনÑ
وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ
আর আমি আপনার জন্যই আপনার স্মরণকে উচ্চ করেছি।
(সূরা আলামনাশরাহ, আয়াত-০৪)
*সুন্নাতে নববিয়্যাহতে নবী করিম(সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম)এর উপর সালাত ও সালাম প্রেরণ প্রসঙ্গ:
এব্যাপারে অসংখ্য হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তন্মধ্যে কিছু নিম্নরূপ:-
হাদিস (১):
হযরত আবু তালহা (রাঃ) রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) থেকে
বর্ণনা করেন- তিনি (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম)বললেন, হযরত জিব্রাইল
(আ) এ মাত্র আমার নিকট এসে বলেন- আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন- হে
মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) আপনি কি একথায় আনন্দিত হবেন না
যে, আপনার কোন উম্মত যদি আপনার প্রতি একবার দুরূদ শরীফ পড়ে, তাহলে আমি
তাঁর উপর ১০টি রহমত নাযিল করি। আর যদি একবার আপনাকে সালাম দেয়, তাহলে আমি
তাঁর উপর ১০টি সালামতি (নিরাপত্তা বিধান) নাযিল করি। (তথ্যসূত্র: আহমদ-
৪র্থ খন্ড, পৃষ্টা-৩০, বাগাভী- ৩য় খন্ড, পৃষ্টা-১৯৬)
হাদিস (২):
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন, তোমরা আমার কবরকে ইদের স্থান
বানাইওনা। আমা উপর দুরূদ পড়। কেননা তোমরা যে অবস্থায় থাকনা কেন তোমাদের
দুরূদ আমার নিকট পৌছে। (আবু দা’উদ, হাদিস নং-২০৪২, ফিল মানাসিক, বাবু
যিয়ারাতিল ক্বুবুর, মসনদে আহমদ,২য় খন্ড, পৃ-৩৬৭)
হাদিস (৩):
হযরত আনাস (রাঃ) থেতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দুরূদ পাঠ করবে
আল্লাহ তার প্রতি ১০টি রহমত নাযিল করেন, ১০টি গুনাহ মাফ করেন এবং তার জন্য
১০টি মরতবা উচ্চ করেন।
হাদিস (৪):
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূল
(সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন- যখন বৃস্পতিবার রাত আসে তখন
আল্লহ এমন কতগুলো ফেরেশতা প্রেরণ করেন যাদের হাতে রুপার কাগজ ও স্বর্ণেও
কলম থাকে, যা দ্বারা বৃস্পতিবার দিন ও শুক্রবার রাতে দুরূদ শরীফ পাঠকারীদের
দুরূদ শরীফ সমূহ লিখতে থাকে। (সা’দাতুদ দারাইন, আল-মাকতাবাতুত
তাওফিকিয়্যাহ, তুরস্ক, পৃ-৯২)
হাদিস (৫):
ইমাম ইবনে শাহীন (রহঃ) হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) এর সূত্রে বর্ণনা করেন,
হুজুর ইরশাদ করেন- নিশ্চয় আমার প্রতি দুরূদ পড়াটা পুলছিরাতে নূও হিসেবে
থাকবে। আর যে ব্যক্তি জুমাআর দিনে ৮০ বার দুরূদ শরীফ পাঠ করবে তার ৮০
বৎসরের গুণাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। (সা’দাতুদ দারাইন, আল-মাকতাবাতুত
তাওফিকিয়্যাহ, তুরস্ক, পৃ-১০৩)
হাদিস (৬):
ইমাম ইবনে মাজাহ (রহঃ) হযরত আব্দুল্লা ইবনে আব্বাস (রাঃ) এর সূত্রে
বর্ণনা করেন, হুজুর ইরশাদ করেন- যে ব্যক্তি আমার উপর দুরূদ শরীফ পড়া ভুলে
গেছে মূলত সে জান্নতের পথই ভুলে গেছে। (ইবনে মাজাহ, পৃষ্টা নং-৬৫)
হাদিস (৭):
হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার উপর একদিনে হাজার বার
দুরূদ শরীফ পাঠ করবে, বেহেশতে তার স্থান না দেখা পর্যন্ত সে মৃত্যু বরণ
করবে না।
(সা’দাতুদ দারাইন, আল-মাকতাবাতুত তাওফিকিয়্যাহ, তুরস্ক, পৃ-১১৫)
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের উপর দুরূদ পড়ার স্থান সমূহ:
১। নামাযের শেষ বৈঠকে তাশাহ্হুদ পাঠ করার পর।
২। জানাযার নামাযে ২য় তাকবীর বলার পর।
৩। জুম’আর দিবসে।
৪। মুয়াজ্জিনের আযান শোনার পর।
৫। মসজিদে প্রবেশের পূর্বে এবং তা হতে বের হওয়ার পূর্বে।
৬। সাফা ও মারওয়া সা’য়ী করার সময়।
৭। কোন মজলিস থেকে পৃথক হওয়ার পূর্বে।
৮। সকাল-সন্ধা।
৯। পাঠ শুরু করার পূর্বে এবং শেষ করার পূর্বে।
১০। দু’আ বা মুনাজাত করার সময়।
** “বিশ সেকেন্ডে বিশ হাজার নেকী”
لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ مُحَمَّدُ رُّسَوْلُ اللهِ
(লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ)
ফযিলত: প্রত্যেক নামাযের পর দশ বার পড়লে মৃত্যুর পর পরই বেহেশতে প্রবেশ করবে।
১. কাদেরীয়া তরীকার শ্রেষ্ঠ দুরূদ শরীফ:-
اَللَّهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ وَعَليٰ اٰلِ سَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ وَبَارِكْ وَسَلِّمْ-
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মাদিন ওয়ালা আ-লি সয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মাদিন ওয়া বারিক ওয়া সাল্লিম)
ফযিলত: এই দুরূদ শরীফ সকাল ও সন্ধ্যা একশত বার পাঠ করলে বালা মুছিবত দূর হয়।
২. জিয়ারতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম:-
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ رُوْحِ مُحَمَّدٍ فِي اَلْاَرْوَاحِ وَعَليٰ جَسَدِهِ فِي اَلْاَجْسَادِ وَعَليٰ قَبَرِهِ فِي الْقُبُوْرِ-
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা রুহি মুহাম্মাদিন্ ফিল আর ওয়াহি ওয়ালা জাসাদিহি ফিল আজসা-দি ওয়ালা ক্ববরিহি ফিল ক্বুবুর)
৩.যেকোন সমস্যা সমাধানের জন্য পড়–ন:-
قَلَّتْ حِيْلَتِيْ اَنْتَ وَسِيْلَتِيْ اَدْرِكْنِي يَا رَسُولَ اللهِ صَلَّي اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
(ক্বল্লাত হিলাতী আন্তা ওয়াসিলাতি আদ্ রিকনি ইয়া রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
ফযিলত: যেকোন সমস্যার সমাধানের জন্য পড়ন ইনশাআল্লাহ বৃথা যাবে না।
৪.হিসাব নিকাশ ও আযাব থেকে মুক্তি লাভের দরুদ:-
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ مُحَمَّدٍ كُلَّمَا ذَكَرَهُ الذّٰكِرُونَ وَصَلِّ
عَليٰ مُحَمَّدٍ كُلَّمَا غَفَلَ عَنْ ذِكْرِهِ الْغَافِلُوْنَ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা মুহাম্মাদিন কুল্লামা যাকারা হুজ্জাকিরুনা ওয়া আ’লা মুহাম্মদিন কুল্লামা গাফালা আন্ যিকরিহিল গাফিলু-ন)
ফযিলত: ইমাম শাফেয়ী (র:) এই দুরূদ শরীফ পড়তেন। এই দুরূদ শরীফের উছিলায়
হিসাব-নিকাশ থেকে মুক্তি পাবেন। প্রতিদিন ১১১ বার পাঠ করলে ঈমানের হিফাজত
এবং ঈমানের সাথে ইন্তেকাল হবে।
৫.ধন সম্পদ বৃদ্ধির দরুদ:-
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ عَبْدِكَ وَرَسُولِكَ
وَعَليٰ المْؤُمِنِيْنَ وَالمْؤُمِنَاتِ وَالْمُسْلِمِينَ
وَالْمُسْلِمَاتِ-
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন্ আবদিক ওয়ারাসূলিকা
ওয়াআলাল মুমিনীনা ওয়া মুমিনাতি ওয়াল মুসলিমীনা ওয়াল মুসলিমাতি।)
ফযিলত: ছাহেবে রুহুল বয়ান এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি এই দুরূদ শরীফ নিয়মিত পাঠ করবে তার ধন-সম্পদ দিন রাত বৃদ্ধি হতে থাকবে।
৬. স্মরণ শক্তি বৃদ্ধির দরুদ:-
اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ وَبَارِكْ عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍنِ
النَّبِّيِ الْكَامِلِ وَعَليٰ اٰلِهِ كَاَب لَانِهَايَةَ لِكَمَالِكَ
وَعَدَدَ كَاَعلِهٖ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি ওয়া সাল্লিম ওয়া বারিক আ’লা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিনিন্
নাবিয়্যিল কামিলি ওয়া আ’লা আলিহি কামা-লা-নিহায়াতা লিকামালিকা ওয়া আদাদা
কামালিহি)
ফযিলত: মাগরিব এশার মধ্যবর্তী সময়ে এই দুরূদ শরীফ পাঠ করলে স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
৭. ঈমানের সহিত মৃত্যু:-
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ مُّنْطَلِقِ عِنَانِ جَوَادِ
الاِيْمَانِ فِي مَيْدِانِ الاِحْسَانِ مُرْسِلاً مُرْشِدًا اِليٰ رِيَاحِ
الْكَرَمِهِ فِي رَوْضِ الجْنَانِ وَعَليٰ اٰلِ مُحَمَّدٍ وَّسَلِّمْ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা সয়্যিদিনা মুহাম্মদিম মুনতালিকি ইনানি জাওয়াদিল
ঈমানি ফি মিদানিল ইহসানি মুরসিলাম্ মুরশিদান ইলা রিয়াহিল কারামিহি ফি
রাওদিল জানানি ওয়া আ’লা আলি মুহাম্মাদিও ওয়া সাল্লিম)
ফযিলত: উক্ত দুরূদ শরীফের উছিলায় ঈমানে সহিত মৃত্যু নসিব হবে।
৮.দরুদে গাউসিয়া:-
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا وَمَوْلَانَا مُحَمَّدٍ مَّعْدَنِ الْجُوْدِ وَالْكَرَمِ وَاٰلِهٖ وَبَارِكْ وَسَلِّمْ-
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা সয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিম মাআ’দিনিল যুদি ওয়াল কারামি ওয়া আলিহি ওয়া বারিক ওয়া সাল্লিম।)
ফযিলত: এ দুরূদ শরীফ পাঠ করলে- ১.জীবিকায় বরকত হবে ২.সমস্ত কাজ সহজ হবে
৩.মৃত্যুকালে কলেমা নসীব হবে ৪.প্রাণবয়ু সহজে বের হবে ৫.কবর প্রশস্ত হবে
৬.কারো মুখাপেক্ষী থাককেনা ৭.আল্লাহর সৃষ্টি তাকে ভালোবাসবে।
৯. দরুদে রযভিয়্যাহ:-
صَلَّي اللهُ عَليٰ النَّبِيِّ الْاُمِّيِّ وَاٰلِهٖ صَلَّي اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلِّمْ صَلوٰةً وَّسَلاماً عَلَيْكَ يَا رَسُوْلَ الله-
(ছাল্লাল্লাহু আলান নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলিহি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছালাতাও ওয়া সালামান আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ)
ফযিলত: এ দুরূদ শরীফ প্রত্যেক নামায ও জুমার নামাযের পর খাস করে মদীনা মনোয়ারার দিকে মুখ করে ১০০ বার পাঠ করলে অগণিত ফযিলত অর্জন হয়।
১০.বদ অভ্যস পরিত্যাগ করার দরুদ:
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ اَفْضَلِ اَنْۭبِيَائِكَ
وَاَكْرَمِ اَصْفِيَائِكَ مَنْ فَاضَتْ مِنْ نُّوْرِهِ جَمِيْعِ
الْاَنْوَارِ وَصَاحِبِ الْمُعْجِزَاتِ وَصَاحِبِ الْمَقَامِ الْمَحْمُوْدِ
سَيِّدِ اْلاَوَّلِيْنَ وَاْلاَخِرِيْنَ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন আফ্দালি আম্বিয়ায়িকা ওয়া
আকরামি আছফিয়াইকা মান ফাদাত মিন্ নূরীহি জামিয়্যিল আনওয়ারী ওয়া ছাহিবিল
মুজিযাতি ওয়া ছাহিবিল মাক্বামিল মাহমুদি সৈয়্যেদিল আওয়ালিনা ওয়াল আখিরিনা)
ফযিলত: এই দুরূদ শরীফ অধিক পরিমানে পাঠ করলে যে কোন অপকর্ম করা হতে বিরত থেকে ইবাদত বন্দেগীতে স্বাধ পাবেন।
১১. উভয় জাহানের নেয়ামত অর্জন:-
اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَّسَلِّمْ وَبَارِكْ عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍوَّعَليٰ اٰلِهٖ عَدَدَ اِنْعَامِ اللهِ وَاَفْضَالِهٖ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি ওয়া সাল্লিম ওয়া বারিক আ’লা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিও ওয়া আ’লা আলিহি আদাদা ইনআ’মিল্লাহি ওয়া আফদ্বালিহি)
ফযিলত: এই দুরূদ শরীফ পড়লে অগণিত নেয়ামত অর্জিত হয়।
১২. দরুদে শিফা:-
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا وَمَوْلۤانَا مُحَمَّدٍ طِبِّ
الْقُلُوْبِ وَدَوَائِهَا وَعَافِيَةِ الأَبْدَانِ وَشِفَائِهَا وَنُوْرِ
الاَبْصَارِ وَضِيَائِهَا وَعَليٰ اٰلِهٖ وَصَحْبِهٖ وَسَلِّمْ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা সয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিন তিব্বিল
কুলুবি ওয়া দাওয়া-ই হা ওয়া আফিয়াতিল আবদানি ওয়া শিফায়িহা ওয়া নুরীল আবছারি
ওয়া দ্বিয়ায়িহা ওয়া আ’লা আলিহি ওয়া ছাহ্বিহি ওয়া সাল্লিম)
ফযিলত: *এ দুরূদ শরীফ যেকোন জটিল ও কঠিন রোগ মুক্তির জন্য পড়া প্রয়োজন।
* প্রত্যহ সকাল সন্ধ্যা ৩বার করে পড়লে মৃত্যু পর্যন্ত নিরোগ থাকা যায়।
১৩. দরুদে শাফায়াত:-
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ مُحَمَّدِوَّ اَنْزِلْهُ الْمَقْعَدَ الْمُقَرَّبَ عِنْدَكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা মুহাম্মাদিও আন্যিলহুল মাক্বয়াদাল মুর্কারাবা ইনদাকা ইয়াউমাল কিয়ামাতি)
ফযিলত: প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ ফরমান যে ব্যক্তি এ দুরূদ শরীফ পড়বে তার জন্য আমার সুপারিশ ওয়াজিব হয়ে যাবে।
১৪.প্রিয় নবীর নৈকট্য লাভের উপায়:-
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ مُحَمَّدٍ كَاَা تُحِبُّ وَتَرْضٰى لَهٗ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা মুহাম্মাদিন কামা তুহিব্বু ওয়া ত্বারদ্বা লাহু)
ফযিলত: একদিন এক ব্যক্তি হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর
নিকট আসলে তিনি তাকে সিদ্দিকে আকবর রাদ্বিআল্লাহু আনহু এবং নিজের মাঝখানে
বসালেন তখন উপস্থিত সাহাবায়ে ক্বেরামগণ প্রশ্ন করলেন কেন উনাকে এত নিকটে
বসালেন তিনি বললেন যে সে এই দুরূদ শরীফ নিয়মিত পড়ে।
১৫. দুনিয়া ও আখেরাতে নিরাপদ থাকার উপায়:-
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَّ اٰلِهٖ وَصَحْبِهِ
وَسَلِّمْ بِعَدَدِ مَا فِي جَمِيْعِ الْقُرْاٰنِ حَرْفًا حَرْفًا
وَّبِعَدَدِ كُلِّ حَرْفٍ اَلْفاً اَلْفاً
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিও ওয়া আলিহি ওয়া ছাহবিহি
ওয়া ছাল্লিম বি আদাদি মাফি জামিয়িল কুরআনই হারফান্ হারফাও ওয়া বি আদাদি
কুল্লি হারফিন আল্ফান আল্ফান)
ফযিলত: যিনি কোরআন তেলাওয়াতের পর এই দুরূদ শরীফ পাঠ করবেন তিনি দুনিয়া ও আখিরাতে নিরাপদ থাকবেন।
১৬. এক লক্ষ দুরূদ শরীফের ছাওয়াব:-
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلىٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدِنِ النُّوْرِ الذَّاتِي
السَّارِئ فِي جَمِيْعِ الْاۤثَارِ وَاْلاَسْمَاءِ وَالصِّفَاتِ وَعَلىٰ
اٰلِهٖ وَصَحْبِهٖ وَسَلِّمْ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদি নিন্ নূরিয্ যাতিস্ সারি
ফি জামিইল আছারি ওয়াস ছিফাতি ওয়া আ’লা আলিহি ওয়া ছাহ্বিহি ওয়া সাল্লিম)
ফযিলত: এ দুরূদ শরীফ ১বার পাঠ করলে এক লক্ষ দুরূদ শরীফের ছাওয়াব পাবে। ৫০০ বার পড়লে যে কোন নেক হাজাত পূর্ণ হবে। ইনশা আল্লাহ
১৭. ছয় লক্ষ দুরূদ শরীফ পড়ার ছাওয়াব:-
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلىٰ سَيِّدِنَا وَمَوْلانَا مُحَمَّدٍ عَدَدَ مَا فِي عِلْمِ اللهِ صَلَوٰةً دائمةً ۭبِدَوَامِ مُلْكِ اللهِ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা সায়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিন আদাদা মা ফি ইলমিল্লাহি ছালাতান্ দায়িমাতাম বিদাওয়ামি মুলকিল্লাহ)
ফযিলত: শায়খুদ দালাইল সৈয়দ আলী বিন ইউসুফ মাদানী রহ্মাতুল্লাহি আলাইহি
আল্লামা জালালুদ্দিন সু’য়ূতি থেকে বর্ণনা করেন এ দুরূদ শরীফ ১বার পড়লে ছয়
লক্ষ দুরূদ শরীফের ছাওয়াব মিলবে। যিনি ১০০০ বার পড়বে দুনিয়া ও আখিরাতে নেক্
বখ্ত হবে।
১৮. এগার হাজার দুরূদ শরীফ পড়ার ছাওয়াব:-
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلىٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَّ عَلىٰ اٰلِهٖ صَلَوٰةً اَنْتَ لَهَا اَهْلٌ وَّهُوَ لَهَا اَهْلٌ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিও ওয়া আ’লা আলিহি ছালাতান আনতা লাহা আহলুও ওয়া হুয়া লাহা আহলুন)
ফযিলত: হাফিজ আল্লামা সুয়ূতী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত এই দুরূদ শরীফ ১বার পড়লে এগার হাজার বার পড়ার ছাওয়াব মিলবে।
১৯. চৌদ্দ হাজার দুরূদ শরীফ পড়ার ছাওয়াব:-
اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَّسَلِّمْ وَبَارِكْ عَلىٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ
وَّعَلىٰ اٰلِهٖ عَدَدَ كَاَ لِ اللهِ وَكَاَا يَلِيْقُ بِكَمَالِهٖ-
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি ওয়া সাল্লিম ওয়া বারিক আ’লা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিও
ওয়া আ’লা আলিহি আদাদা কামালিল্লাহি ওয়া কামা ইয়ালিকু বি কামালিহি)
ফযিলত: এই দুরূদ শরীফ শুধু ১বার পড়লে ১৪ হাজার দরূদে পাকের ছাওয়াব মিলবে।
২০. মুখের দুর্গন্ধ দূর করার উপায়:-
اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلىٰ النَّبِيِّ الطَّاهِرِ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি ওয়া সাল্লিম আলান নবিয়্যিত ত্বাহিরি)
ফযিলত: এক নিশ্বাসে ১১বার এই দুরূদ শরীফ পাঠ করলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
২১. বৃষ্টির সময় এই দুরূদ শরীফ পড়া উত্তম:-
اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَّسَلِّمْ عَلىٰ سَيِّدِنَا وَمَوْلَانَا مُحَمَّدٍ وَّ
علىٰ اٰلِهٖ سَيِّدِنَا وَمَوْلَانَا مُحَمَّدٍ بِعَدَدِ قَطْرَاتِ
الْأَمْطَارِ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি ওয়া সাল্লিম আ’লা সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও
ওয়া আ’লা আলিহি সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিন্ বি আদাদি ক্বাতরাতিল
আমতার)
ফযিলত: বৃষ্টি আসার সময় এই দুরূদ শরীফ পাঠ করলে যতগুলো ফোটা মাটিতে পড়ে ততগুলো ছাওয়াব পাওয়া যাবে।
২২.অন্তরকে আলোকিত করার উপায়:-
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلىٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ نُوْرِ اْلاَنْوَارِ وَسِرِّ اْلاَسْرَارِ وَسَيِّدِ اْلاَبْرَارِ-
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন নূরীল আনওয়ারি ওয়া র্সিরিল আসরারি ওয়া সইয়্যিদিল আবরার)
ফযিলত: এ দুরূদ শরীফ নিয়ামিত পাঠ করলে নিজ ক্বলবে নূর পয়দা হবে।
২৩. আশি বছরের গুনাহ মাফ:-
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلىٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدِنِ النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ وَعَلىٰ اٰلِهٖ وَسَلِّمْ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিই ওয়া আ’লা আলিহি ওয়া সাল্লিম)
ফযিলত: রাসূলে পাক ইরশাদ ফরমান যে ব্যক্তি জুমার দিন আছরের পর ৮০বার এই
দুরূদ শরীফ পড়বে আল্লাহ তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন।
২৪. মাগফিরাতের দুরূদ শরীফ:-
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلىٰ سَيِّدِنَا وَمَوْلَانَا مُحَمَّدٍ وَعَلىٰ اٰلِهٖ وَسَلِّمْ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা সাইয়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়া আ’লা আলিহি ওয়া সাল্লিম)
ফযিলত: তাজেদারে মদীনা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমান যে
ব্যক্তি এই দুরূদ শরীফ পড়বে যদি দাঁড়ানো থাকে তবে বসার পূর্বে এবং বসা
থাকলে দাঁড়ানোর পূর্বেই তার গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।
২৫. সারাদিন দুরূদ শরীফ পড়ার ছাওয়াব:-
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدَنَا مُحَمَّدٍ فِي اَوَّلِ كَاَيمِنَا
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ فِي اَوْسَطِ كَاَ مِنَا
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ فِي اۤخِرِ كَاَ مِنَا
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা সইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ফি আউয়ালি কালামিনা।
আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা সইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ফি আওসাতি কালামিনা।
আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা সইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ফি আখিরি কালামিনা।)
ফযিলত: যে ব্যক্তি এই দুরূদ শরীফ দিনে ৩বার এবং রাতে ৩বার পাঠ করবে সে যেন দিন-রাত দুরূদ শরীফ পড়ার ছাওয়াব পবে।
২৬. দরূদে মাহী:-
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ خَيْرِ الْخَلَائِقِ
اَفْضَلِ الْبَشَرِ شَفِيْعِ اْلاُمَّةِ يَوْمِ الْحَشَرِ
وَالنَّشَرِسَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ بِعَدَدِ كُلِّ مَعْلُوْمِ لَّكَ وَصَلِّ
عَليٰ جَمِيْعِ اْلاَنْۭبِيَاءِ وَالْمُرْسَلِيْنَ وَالْمَلۤائِكَةِ
الْمُقَرَّبِيْنَ وَعَليٰ عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِيْنَ وَارْحَمْنَا
مَعَهُمْ بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّحِمِيْنَ-
(আল্লাহুম্মা সাল্লি আ’লা মুহাম্মাদিন খাইরিল খালায়িক্বি আফদ্বালিল বাশারি
শাফীয়িল উম্মাতি ইয়াওমাল হশারি ওয়ান্নাশরি সইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিম্
বিআদাদি কুল্লি মা’লুমিল্লাকা ওয়া সাল্লি আ’লা জমীয়িল আম্বিয়ায়ি ওয়াল
মুরসালীনা ওয়াল মালায়িকাতিল মুর্ক্বারাবীনা ওয়া আ’লা ইবাদিল্লাহিস্
সালিহীনা ওয়ারহাম্না মাআ’হুম বিরহমাতিকা ইয়া আরহামার রহিমীনা।)
ফযিলত: * খুব কঠিন বিপদে কিংবা দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হলে ক্রমবৃদ্ধি
করে ২১ দিন বা ৪১ দিনে সোয়া লক্ষ বার এই দুরূদ শরীফ পড়িলে সাথে সাথে ফল
পাওয়া যায়।
*প্রত্যেক ফজরের নামাযের পর ৭বার পড়লে স্বাস্থ্য অটুট থাকে, দেহশ্রী লাবণ্যময় থাকে এবং বিপদাপদ থেকে মুক্ত থাকবে।
২৭. দরূদে তুনাজ্জিনা:-
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ وَعَليٰ اٰلِ
سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ صَلوٰةً تُنَجِّيْنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ
الْأَهْوَالِ وَاْلآفَاتِ وَتَقْضِيْ لَنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ
الْحَاجَاتِ وَتُطَهِّرُنَا بِهَا مِنْ جَمِيْعِ السَّيِّاٰتِ
وَتَرْفَعُنَا بِهَا عِنْدَكَ اَعْليٰ الدَّرَجَاتِ وَتُبَلِّغُنَا بِهَا
اَقْصىٰ الْغَايَاتِ مِنْ جَمِيْعِ الْخَيْرَاتِ فِي الْحَيَاتِ وَبَعْدَ
الْمَمَاتِ- اِنَّكَ عَليٰ كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٍ بِرَحْمَتِكَ يَا
اَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ-
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মাদিন ওয়ালা আ-লি
সয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মাদিন সালাতান তুনাজ্জিনা বিহা মিন জামীয়িল
আহ্ওয়ালি ওয়াল আফাত, ওয়া ত্বাক্দি লানা মিন জামীয়িল হাজাত। ওয়া
তুতাহ্হিনরুনা বিহা মিন জামীয়িস্ সাইয়্যিআত। ওয়া তারফউনা বিহা ইন্দাকা
আ’লাদ্দারাজাত। ওয়া তুবাল্লিগুনা বিহা আকসাল গায়াত মিন জামীয়িল খাইরাত ফিল
হয়াতি ওয়া বা’দাল মামাত। ইন্নাকা আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর; বিরহমাতিকা
ইয়া আরহার্মা রহিমীন।)
ফযিলত: * পাক সাফ স্থানে বসে ১হাজার বার পাঠ করলে গুরুতর মোকাদ্দামায় ও
আশ্চর্য সুফল পাওয়া যায়। ** প্রত্যহ ফজর ও মাগরিবের পর ১১বার এই দুরূদ
শরীফ পাঠ করলে কখনো চাকরি যাবেনা ও রিযিক বন্ধ হবেনা।*** এই দুরূদ শরীফ
৩বার টাঠ করে ১মুষ্টি মাটির উপর ৩বার ফুঁক দিয়ে কবরের উপর ছিটিয়ে দিলে
শিয়াল কুকুর দ্বারা ঐ কবরের লাশ নষ্ট হবেনা।
২৮. দরূদে খাইর:-
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا وَنَبِيِّنَا وَشَفِيْعِنَا
وَمَوْلَآنَا مُحَمَّدٍ صَلَّي اللهَ عَلَيْهِ وَعَليٰ اٰلِهٖ
وَاَصْحَابِهِ وَاَزْوَاجِهِ وَبَارِكْ وَسَلِّمْ
(আল্লাহুম্মা সাল্লি আ’লা সইয়্যিদিনা ওয়া নাবিয়্যিনা ওয়া শাফীয়িনা ওয়া
মাওলানা মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আ’লা আলিহী ওয়া আসহাবিহী ওয়া
আযওয়াজিহী ওয়া বারিক ওয়া সাল্লিম।)
ফযিলত: যিনি সর্বদা এই দুরূদ শরীফ আমল করবেন- তিনি অবশ্যই দেশের সর্দার
হবেন। যদি তা না হয়, তবে অন্তত স্বীয় বংশের সর্দার রূপে বা শ্রেষ্ঠ ধনী
রূপে ইজ্জত পাবেন। প্রত্যহ চাশ্ত নামাযের পর ২১বার পড়লে ইন্শাআল্লাহ ধনী
হয়ে যাবে।
২৯.দরূদে ফুতুহাত:-
بِسْمِ اللهِ اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا وَعَلٰي اٰلِهٖ بِعَدَدِ
اَنْوَاعِ الرِّزْقِ وَالْفُتُوْحَاتِ يَابَاسِطَ الَّذِيْ يَبْسُطُ
الرِّزْقَ لِمَنْ يَّشَاءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ- اُبْسُطْ عَلَيْنَا
رِزْقًاوَاسِعًا مِنْ كُلِّ جِهَةٍ مِّنْ خَزَائِنِ غَيْبِكَ بِغَيْرِ
مِنَّةٍ مَّخْلُوْقٍ ِبۢمَحْضٍ فَضْلِكَ وَكَرَمِكَ بِغَيْرِ حِسَابٍ-
(বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা সাল্লি আ’লা সাইয়্যিদিনা ওয়া আ’লা আলিহি বি আদাদি
আনওয়াইর রিজক্বি ওয়াল ফুতুহাতি ইয়া বা-সিতাল্লাযী ইয়াব্সুতুর রিয্কা
লিমাঁই ইয়াশাউ বিগাইরি হিসাব।উসবুত আলাইনা রিয্কাঁও ওয়াসিআম্ মিন কুল্লি
জিহাতিম মিন খাযায়িনি গাইবিকা বিগাইরি মান্নাতিম্ মাখলুক্বিম বিমাহ্দি
ফাদ্লি কা ওয়া কারামিকা বিগাইরি হিসাব)
ফযিলত: এই দুরূদ শরীফ ৩বার পাঠ করলে জীবনে কখনো অবনতি ঘটবে না ও ধনে-জনে সমৃদ্ধ শালী থাকবে।
২৯. দরূদে রু’ইয়াতে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম):-
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍنِ النَّبِيِّ اْلاُمِيِّ
(আল্লাহুম্মা সাল্লি আ’লা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিনি ন্নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি)
ফযিলত: হযরত শেখ আব্দুল কাদের জিলানী (রা:) বা বড় পীর (রা:)
‘গুনিয়াতুত্তালিবীন’ এ লিখেছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার রাতে দুই রাকাত নফল নামাজ এই নিয়্যতে পড়ে যে,
প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহার পর ১বার আয়াতুল কুরসী ও ১৫বার সূরা ইখলাস
এবং নামাজ শেষে এই দুরূদ শরীফ ১০০০ বার পড়বে অবশ্যই সে ব্যক্তি আমাকে
স্বপ্নে দেখতে পাবে। যদি ঐ রাতে না দেখে তবে ২য় শুক্রবার আসার পূর্বে দেখতে
পাবে। এবং তার সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।
৩০. সাইয়্যেদা ফাতিমা (রা:) রচিত দুরূদ শরীফ:-
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ مَنْ رُوْحُهُ مِحْرَابُ الْأَرْوَاحِ
وَالْمَلٰئِكَةِ وَالْكَوْنِ- اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ مَنْ هُوَ اِمَامُ
اْلاَنْبِيَاءِ وَالُمُرْسَلِيْنَ- اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَليٰ مَنْ هُوَ
اِمَامُ اَهْلِ الْجَنَّةِ عِبَادَ اللهِ الْمُؤْمِنِيْنَ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা মান রুহুহু মিহরাবুল আরওয়াহি ওয়াল মলাইকাতি ওয়াল
কাউনি। আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা মানহুয়া ইমামুল আম্বিয়ায়ি ওয়াল মুরসালীনা।
আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা মানহুয়া ইমামু আহ্লিল জান্নাতি ইবাদিল্লাহিল
মু’মিনীন।)
৩১. দরূদে নারিয়া বা সালাতে নারিয়া:-
اَللّٰهُمَّ صَلِّ صَلٰوةً كَامِلَةً وَسَلِّمْ سَلَامًا تَامًّا عَليٰ
سَيِّدِنَا مُحَمَّدِنِ الَّذِيْ تَنْحَلُّ بِهِ الْعُقَدُ وَتَنْفَرِجُ
بِهِ الْكُرَبُ وَتُقْضىٰ بِهِ الْحَوَائِجُ وَتُنَالُ بِهِ الرَّغَائِبُ
وَحُسْنُ الْخَوَاتِمِ وَيُسْتَسْقَي الْغَمَامُ بِوَجْهِهٖ الْكَرِيْمِ
وَعَليٰ اٰلِهٖ وَصَحْبِهٖ فِي كُلِّ لَمْحَةٍ وَّنَفَسٍ بِعَدَدِ كُلِّ
مَعْلُوْمٍ لَكَ-
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি ছালাতান কামিলাতান ওয়া সাল্লিম সালামান তাম্মান আ’লা
সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিনিল্লাযী তানহাল্লু বিহীল উক্বাদু ওয়া তানফারিজু
বিহীল কুরাবু ওয়া তুক্বদ-বিহীল হাওয়ায়িজু ওয়া তুনালু বিহীর রাগাইবু ওয়া
হুসনুল খওয়াতিমু ওয়া ইউস্ তাস্কাল গামামু বিওয়াজ হিহিল কারীম, ওয়া আ’লা
আলিহী ওয়া ছাহবিহী ফী কুল্লি লাম্হাতিন ওয়া নাফাসিম বিআদাদি কুল্লি
মা’লুমল্লাক্)
ফযিলত: দুরারোগ্য, বালা-মুছিবত, চাকুরী লাভে, ব্যবসার উন্নতি ও যে কোন
আশা পূরণে এবং বিবাহ হওয়ার জন্য ৪৪৪৪ বার পাঠ করলে নিশ্চয়ই সফল হবে।
৩২. দুনিয়াতে জান্নাত দেখার দুরূদ শরীফ:-
صَلَّى اللهُ عَليٰ حَبِيْبِهٖ مُحَمَّدٍ وَاٰلِهٖ وَسلَّمَ
(ছাল্লাল্লাহু আলা হাবীবিহী মুহাম্মাদিন ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লিম।
ফযিলত: যে ব্যক্তি এই দুরূদ শরীফ একাধারে এক হাজার বার পাঠ করবে, তার
মৃত্যুর পূর্বে সে অবশ্যই জান্নাতে তার স্থান ও জান্নাতের ঘর দেখতে পাবে।
৩৩. দোজখের আযাব মাফ হওয়ার দুরূদ শরীফ:-
اَللّٰهُمَّ اِنِّي اَصْبَحْتُ اَشْهَدُكَ وَاَشْهَدُ حَمَلَةِ عَرْشِكَ
وَمَلٰئِكَتِكَ وَجَمِيْعِ خَلْقِكَ اِنَّكَ اَنْتَ اللهُ لَااِلَهَ اِلاَّ
اَنْتَ وَحْدَكَ لاَ شَرِيْكَ لَكَ وَاَنَّ مُحَمَّدً عَبْدَكَ
وَرَسُوْلُكَ-
(আল্লাহুম্মা ইন্নি আস্বাহতু আশহাদুকা ওয়া আশহাদু হামালাতি আরশিকা, ওয়া
মলাইকাতিকা, ওয়া জামী-’ই খলক্বিকা ইন্নাকা আন্তাল্লাহু লা- ইলাহা ইল্লা
আন্তা, ওয়াহ্দাকা লা-শারীকালাকা, ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুকা ওয়া
রাসূলুকা)
ফযিলত: হযরত আনাস (রা:) থেকে বর্ণিত, রাসূলে আকরাম (দ:) ইরশাদ করেন, যে
ব্যক্তি এই দুরূদ শরীফ সকালে বা সন্ধ্যায় ১বার পাঠ করবে, আল্লাহ তার এক
চতুর্থাংশ দোজখের আজাব মাফ করবেন এবং দুইবার পাঠ করলে অর্ধেক আজাব মাফ
করবেন এবং তিনবার পাঠ করলে তিন চতুর্থাংশ এবং ৪বার পাঠ করলে আল্লাহ তা’আলা
তাকে সম্পূর্ণ দোযখের আযাব থেকে রেহাই দেবেন।
৩৪. দরূদে ফাতিহ:-
اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ وَبَارِكْ عَلىٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ
اَلْفَاتِحِ لِمَا اَغْلَقَ وَالْخَاتِمِ لِمَا سَبَقَ وَالنَّاصِرِ
الْحَقِّ بِا لْحَقِّ وَالْهَادِيْ اِلىٰ صِرَاطِكَ الْمُسْتَقِيْمِ صَلَّي
اللهُ عَلَيْهِ وَعَلىٰ اٰلِهٖ وَاَصْحَابِهِ حَقَّ قَدْرِهٖ
وَمُقَدَّرِهٖ العَظِيْمِ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি ওয়াসাল্লিম ওয়া বারিক আ’লা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন,
আল ফাতিহি লিমা আগ্লাক্বা ওয়াল খাতিমি লিমা সাবাক্বা, ওয়ান্ না-ছিরিল
হাক্কি বিল হাক্কি ওয়াল হাদী ইলা সিরাতিক্বাল্ মুসতাক্বীম। সাল্লাল্লাহু
আলায়হি ওয়া আ’লা আলিহি ওয়া আছহাবিহী হাক্কা ক্বাদরিহী ওয়া মিক্বদারিহিল
আযীম)
ফযিলত: এই দুরূদ শরীফ জীবনে একবার পড়লে তান জন্য জাহান্নাম হারাম হয়ে
যাবে। বৃহস্পতিবার রাতে ১০০ বার পড়লে ৪০০ বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। ভীষণ
মুছিবতে পডলে ৫ওয়াক্ত নামাজ বা’দ এই দুরূদ শরীফ ১০০ বার এবং ‘ইয়া
লাত্বীফু’ ১০০ বার পাঠ করলে ইন্শাআল্লাহ যত বড় বিপদই হোক বিপদ মুক্ত হবে।
একবার এই দুরূদ শরীফ পড়লে ৬ লক্ষ দুরূদ পড়ার ছাওয়াব পাওয়া যাবে।
সৌভাগ্যবান ব্যক্তি হজ্জ- ওমরাহ যিয়ারতে গিয়ে পবিত্র মক্কা শরীফে ১ বার পাঠ
করেন তবেÑ আল্লাহর রহমত পাওয়া যাবে ৬০ হাজার কোটি, নেকী পাওয়া যাবে ৬০
হাজার কোটি, বেহেশতের মর্তবা পাবে ৬০ হাজার কোটি, গুনাহ মাফ হবে ৬০ হাজার
কোটি, ৬০ হাজার কোটি গোলাম আযাদের সম পরিমান সাওয়াব পাবে, এবং ১২০ হাজার
কোটি অর্জন হবে। “সুবহানাল্লাহ”। আর মদীনা শরীফে পড়ার সাওয়াব লিখা কারো
পক্ষেই সম্ভব নয়। (আমলে আলো ৫ম খন্ড)
৩৫. দরূদে জাওহারূল কামাল:-
اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَليٰ عَيْنِ الرَّحْمَةِ الرَّبَّانِيَّةِ
وَالْيَاقُوْتَةِ المُتَحَقِّقَةِ الْحَائِطَةِ بِمَرْكَزِ الْفُهُوْمِ
وَالْمَعَانِيُّ نُوْرِ الْاَكْوَانِ الْمُتَكَوِّنَةِ الْأَدَمِيِّ
صَاحِبُ الْحَقِّ الرَّبَّانِيِّ الْبَرْقُ الْاَسْطَحُ بِمَزْنِ
الْاَرْيَاحِ الْمَائِلَةِ لِكُلِّ مُتَعَرِّضٍ مِّنَ الْبُحُوْرِ
وَالْاَوَانِىْ نُوْرِكَ اللَّامِعُ الَّذِيْ مَلَائَةِ الْمَكَانِ-
اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَسَلِّم عَليٰ عَيْنِ الْحَقِّ الَّتِي تَتَجَلىّٰ
مِنْهَا عُرُوْسُ الْحَقَائِقِ عَيْنِ الْمَعَارِفِ الْاَقْدَمِ صِرَاطُكَ
التَّامُّ اَقْوَمُ-اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلىٰ طَلَعَةِ الْحَقِّ
بِالْحَقِّ الْكَنْزِ الْاَعْظَمِ اَفَاضَتْكَ مِنْكَ اِلَيْكَ اَحَاطَةَ
النُّوْرِ الْمُسْطَلَمِ صَلَّي اللهُ عَلَيْهِ وَعَلىٰ اٰلِهٖ صَلَاةَ
تَعْرِفُنَا بِهَا اِيَّاهُ-
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি ওয়াসাল্লিম আলা আইনির রাহমাতির রাব্বানিয়াতি। ওয়াল
ইয়াকু-তাতিল মুতাহাক্বাক্বাতিল হা-য়িত্বাতি বিমারকাজিল ফুহুমি ওয়াল মা’আনী,
নূরিল আকওয়ানিল মুতাকাওয়ানাতিল আদিমি সাহিবিল হাক্কির রাব্বানী। আল
বারক্বুল আস্ত্বাহি বিমান্যিল আরইয়াহিল মায়িলাতি লিকুল্লি মুতাআররিদ্বিম
মিনাল বুহুরি ওয়াল আওয়ানি নুরিকাল ল্লামিউ ল্লাযী মালাআত্ বিহি কাওনুকাল
হায়িত্বু বিআম্কানাতিল মাকান।
আল্লাহুম্মা ছাল্লি ওয়াসাল্লিম আলা আইনিল হাক্কিল্লাতী তাতাজাল্লামিনহা
উরুসূল হাক্বায়িক্বি আইনুল মাআরিফিল আক্বদামি সিরাত্বুক্বাত্ তাম্মু
আক্বওয়াম।
আল্লাহুম্মা ছাল্লি ওয়াসাল্লিম আলা ত্বালআতিল হাক্কি বিল হাক্কিল্ কানাযিল
আ’যমি আফাদ্বাতক্বা মিনক্বা ইলাইকা ইহাতাতিন্ নূরিল মুত্বালসামি
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আ’লা আলিহী ছালাতান তা’রিফুনা বিহা ইয়্যাহু।
ফযিলত: যে ব্যাক্তি এই দুরূদ শরীফ অন্তঃকরণে ৭ বার পাঠ করবে, পাঠ কালীন
অধিকাংশ সময় তার নিকট স্বয়ং হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও
তাঁর বিশিষ্ট চার সাহাবী রূহানি ভাবে উপস্থিত থাকবেন। এবং যে ব্যক্তি ৭
বারের অধিক পাঠ করবেন তাকে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাস
ভাবে মহব্বত করবেন। আউলিয়ার দরজা লাভ করে দুনিয়া থেকে যাবেন। এবং যে
নিদ্রার পূর্বে ৭ বার পড়ে পাক বিছানায় ঘুমাবে সে স্বপ্নে পেয়ারা নবীর দীদার
নসীব হবে। “সুবহানাল্লাহ”
৩৬.দরূদে ইব্রাহীমী:-
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلىٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَعَلىٰ اٰلِ سَيِّدِنَا
مُحَمَّدٍ كَاَِ صَلَّيْتَ عَلىٰ سَيِّدِنَا اِبْرَاهِيْمَ وَعَلىٰ اٰلِ
سَيِّدِنَا اِبْرَاهِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ- اَللّٰهُمَّ بَارِكْ
عَلىٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَعَلىٰ اٰلِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ كَاَِ
بَارَكْتَ عَلىٰ سَيِّدِنَا اِبْرَاهِيْمَ وَعَلىٰ اٰلِ سَيِّدِنَا
اِبْرَاهِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ওয়ালা আ-লি সয়্যিদিনা
মাওলানা মুহাম্মাদিন কামা ছাল্লাইতা আ’লা সাইয়্যিদিনা ইব্রাহীমা ওয়ালা আ-লি
সয়্যিদিনা ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।
আল্লাহুম্মা বারিক আ’লা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ওয়ালা আ-লি সয়্যিদিনা
মাওলানা মুহাম্মাদিন কামা বারাক্তা আ’লা সাইয়্যিদিনা ইব্রাহীমা ওয়ালা আ-লি
সয়্যিদিনা ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।
৩৭. বরকতময় দুরূদ শরীফ:-
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلىٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَعَلىٰ اٰلِ سَيِّدِنَا
مُحَمَّدٍ صَلٰوةً دَائِمَةً مَّقْبُوْلَةً تُوَدِّيْ بِهَا اَنَّ حَقَّهُ
الْعَظِيْمِ
(আল্লাহুম্মা বারিক আ’লা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন ছালাতান্ দায়িমাতান মাক্ববুলাতান তুওয়াদ্দী বিহা আন্না হাক্কাহুল আযীম)
৩৮.দরূদে তাজ:-
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلىٰ سَيِّدِنَا وَمَوْلَانَا مُحَمَّدٍ صَاحِبِ
التَّاجِ وَالْمِعْرَاجِ وَالْبُرَاقِ وَالْعَلَمِ دَافِعِ الْبَلَاءِ
وَالْوَبَاءِ وَالْقَحَطِ وَالْمَرَضِ وَالاَلَمِ اِسْمُهُ مَكْتُوْبٌ
مَرْفُوْعٌ مَشْفُوْعٌ مَنْقُوْشٌ فِي اللَّوْحِ وَالْقَلَمِ سَيِّدِ
الْعَرَبِ وَالْعَجَمِ جِسْمُهُ مُقَدَّسٌ مُعَطَّرٌ مُطَهَّرٌ مُنَوَّرٌ
فِي الْبَيْتِ وَالْحَرَمِ شَمْسِ الضُّحىٰ بَدْرِ الدَّجىٰ صَدْرِ
الْعُلىٰ نُوْرِ الْهُدٰى كَهْفِ الْوَرٰى مِصْبَاحِ الظُّلَمِ جَمِيْلِ
الشِّيَمِ شَفِيْعِ الْاُمَمِ صَاحِبِ الْجُوْدِ وَالْكَرَمِ وَاللهُ
عَاصِمُهُ وَجِبْرِيْلُ خَادِمُهُ وَالْبُرَاقُ مَرْكَبُهُ وَالْمِعْرَاجُ
سَفَرُهُ وَسِدْرَةُ الْمُنْتَهٰى مَقَامُهُ وَقَابَ قَوْسَيْنِ
مَطْلُوْبُهُ وَالْمَطْلُوْبُ مَقْصُوْدُهُ وَالْمَقْصُوْدُ مَوْجُوْدُهُ
سَيِّدِ الْمُرْسَلِيْنَ خَاتَمِ النَّبِيّيْنَ شَفِيْعِ الْمُذْنَبِيْنَ
اَنِيْسِ الْغَرِيْبِيْنَ رَحْمَةً لِلْعٰلَمِيْنَ رَاحَةً الْعَاشِقِيْنَ
مُرَادِ الْمُشْتَاقِيْنَ شَمْسِ الْعَارِفِيْنَ سِرَاجِ السَّالِكِيْنَ
مِصْبَاحِ الْمُقَرَّبِيْنَ مُحِبِّ الْفُقَرَاءِ وَالْمَسَاكِيْنَ سَيِّدِ
الثَّقْلَيْنِ نَبِيِّ الْحَرَمَيْنِ اِمَامِ الْقِبْلَتَيْنِ
وَسِيْلَتِنَا فِي الدَّارَيْنِ صَاحِبِ قَابَ قَوْسَيْنِ مَحْبُوْبِ رَبِّ
الْمَشْرِقَيْنِ وَالْمَغْرِبَيْنِ جَدِّ الْحَسَنِ وَالْحُسَيْنِ
مَوْلَانَا وَمَوْلىٰ الثَّقْلَيْنِ اَبِى الْقَاسِمِ مُحَمَّدِ بْنِ
عَبْدِ اللهِ نُوْرٍ مِنْ نُوْرِ اللهِ يَا اَيُّهَا الْمُشْتَاقُوْنَ
بِنُوْرِ جَمَالِهٖ صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيْمًا
(আল্লাহুম্মা সাল্লি আ’লা সায়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিন, সাহিবিত্
তাজি ওয়াল মি’রাজি ওয়াল বুরাক্বি ওয়াল আলাম। দা-ফিয়িল বালায়ি, ওয়াল ওবায়ি,
ওয়াল ক্বাহাতি, ওয়াল মারাদ্বি, ওয়াল আলাম। ইসমুহু মাক্বতুবুন, মারফুউন,
মাশফুউন, মানকূশুন, ফিল-লাওহি ওয়াল ক্বালাম। সায়্যিদিল আরাবি ওয়াল আজম।
জিসমুহু মুক্বাদ্দাসুন, মুয়াত্তারুন, মতাহ্হারুন, মুনাও-ওয়ারুন, ফিল বাইতি
ওয়াল হারাম। শাসছিদ্দুহা, বদরিদ্দুজা, সাদরিল-উলা, নু-রিল হুদা, কাহফিল
ওয়ারা, মিসবাহিয্ যুলাম। জামীলিশ্ শিয়ামি শাফিয়িল উমামি, সা-হিবিল জু-দি
ওয়াল কারাম। ওয়াল্লাহু আছিমুহু, ওয়া জিব্রীলু খাদিমুহু, ওয়াল বুরাক্বু
মারকাবুহু, ওয়াল মি’রাজু ছাফারুহু, ওয়া সিদরাতুল মুন্তাহা মাক্বামুহু ওয়া
ক্বাবা ক্বাওসাইনি, মাতলুবুহু ওয়াল মাতলুবু, মাক্বসুদহু ওয়াল মাক্বসুদু
মাওজুদুহু, সায়্যিদিল মুরসালীনা, খা-তামিন নাবিইয়্যীনা, শাফিয়িল মুযনিবীনা,
আনীছিল গারীবীনা রহ্মাতাল-লিল আ’লামীনা, রহাতিল আ-শিক্বীনা, মুরাদিল
মুশ্তাক্বীনা, শামছিল আ-রিফীনা, সিরাজিছ্ ছা-লিকিনা, মিছবাহিল্
মুর্ক্বারাবীনা, মুহিব্বিল্ ফোক্বারায়ি ওয়াল গোরাবায়ি, ওয়াল মাছাকীনা,
সয়্যিদিছ্ ছাক্বলায়নি, নাবিয়্যিল হারামায়নি, ইমামিল ক্বিবলাতাইনি,
ওয়াসীলাতিনা ফিদ্দারায়নি, ছাহিবি ক্বা-বা ক্বাওছাইনি, মাহ্বূবি রাব্বিল
মাশরিকায়নি ওয়াল মাগরিবাইনি, জাদ্দিল হাসানি ওয়াল হুসাইনি (রাদ্বিআল্লাহু
আন্হুমা) মাওলানা ওয়া মাওলাছ্ সাক্বলাইনি, আবিল ক্বাছিম মুহাম্মদ বিন
আব্দিল্লাহি নূরিম মিন নূরিল্লাহ। ইয়া আয়য়ূহাল মুশতাকুনা বিনূরি জামালিহী
সাল্লু আলায়হি ওয়া সাল্লিামূ তাসলীমা)
ফযিলত:মনের পবিত্রতা লাভের জন্য ফজরের নামাযের পর ৭বার, আছরের নামাযের পর
৩বার, ইশার নামাযের পর ৩ বার পড়তে হয়। এই দুরূদ শরীফ সর্বদা পড়লে মনের
বাসনা পূর্ণ হয়। জুমআর রাতে এ’শার নামায শেষে এই দুরূদ শরীফ ১৮০ বার পাঠ
কওে শুলে ইন্শাআল্লাহ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এর জিয়ারত নসীব
হবে। ১১ দিন এই আমল করলে মনের আশা পূর্ণ হবে।
৩৯. হযরত আলী (রাঃ) এর দুরূদ শরীফ:
صَلَوَاتُ اللهِ وَمَلَائِكَتِهٖ وَأَنْبِيَائِهٖ وَرَسُلِهٖ وَجَمِيْعِ
خَلْقِهٖ عَلىٰ مُحَمَّدٍ وَاٰلِ مُحَمَّدٍ وَعَلَيْهِ وَعَلَيْهِمْ
السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ-
(সালাওয়াতুল্লাহি ওয়া মালাইকাতিহি ওয়া আম্বিয়ায়িহি ওয়া রাসূলিহি ওয়া
জামীয়-ই খলকিহি আ’লা মুহাম্মাদিন্ ওয়া আলায়হি ওয়া আলায়হিম আস্সালামু ওয়া
রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।)
৪০.হযরত মুসা আলায়হিস সালামের দুরূদ শরীফ:
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلىٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ خَاتِمِ الْأَنْبِيَاءِ
وَمَعْدَنِ الْأَسْرَارِ وَمَنْۢبَعِ الْأَنْوَارِ وَجَمَالِ الْكَوْنَيْنِ
وَشَرَفَ الدَّارَيْنِ وَسَيِّدَ الثَّقْلَيْنِ الْمَخْصُوْصِ بِقَابَ
قَوْسَيْنِ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন খাতামুল্ আম্বিয়া-ই ওয়া
মা’দানিল আসরারি ওয়া মানবাইল আনওয়ারি ওয়া জামালিল কাওনায়নি ওয়া শরাফাদ্
দা-রায়নি ওয়া সায়য়াদাস্ সাক্বলায়নিল মাখসুসি বিক্বাবা কাওসায়নি।)
৪১.হাউজে কাউসারের পানি পান করার দুরূদ শরীফ:
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلىٰ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَعَلىٰ اٰلِهٖ
وَاَصْحَابِهٖ وَاَوْلَادِهٖ وَاَزْوَاجِهٖ وَذُرِّيَّتِهٖ وَاَهْلِ
بَيْتِهٖ وَاَصْحَارِهٖ وَاَنْصَارِهٖ وَاَشْيَاعِهٖ وَمُحِبِّهٖ
وَاُمَّتِهِ وَعَلَيْنَا مَعَهُمْ اَجْمٰعِيْنَ يَا اَرْحَمَ
الرَّاحِمِيْنَ
(আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সয়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মাদিন ওয়া আ’লা আ-লিহি
ওয়া আসহাবিহি ওয়া আওলাদিহি ওয়া আযওয়াজিহি ওয়া যুররিয়াতিহি ওয়া আহলি বায়তিহি
ওয়া আসহারিহি ওয়া আরসারিহি ওয়া আশইয়ায়িহি ওয়া মুহিব্বিহি ওয়া উম্মাতিহি
ওয়া আলায়না মা’আহুম আজমাঈন ইয়া আরহামার রাহিমীন।)
ফযিলত: হযরত হাসান বসরী (রাঃ) বলেন, আল্লাহর যে বান্দা এবং রাসূলের যে
উম্মত হাউযে কাউসারের পানি পরিতৃপ্ত সহকারে পান করতে চায়, সে যেন এই দুরূদ
শরীফটি পাঠ করে।