Friday, June 27, 2014

পবিত্র রমাজান মাসে কোল্ড ড্রিঙ্কস পান করা থেকে বিরত থাকুন

http://shobujbanglablog.net/12856.html
 লিখেছেন: তাজদীদ

কোল্ড ড্রিংকস সাধারণত গরমের দিনে ও রমজান মাসে খাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। কিন্তু জানেন কি? কোল্ড ড্রিংকস শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই হুমকি নয় বরং ঈমান বিধ্বংসী একটি ভয়ানক অস্ত্র। একে জান ও ঈমানের জন্য নিরব ঘাতকও বলা যায়। অনেকদিন আগে একটি সংবাদ শুনেছিলাম যে, ভারতের কোন এক বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন ছাত্র এক খাওয়ার প্রতিযোগিতা করেছিল কে সবচেয়ে বেশি কোক খেতে পারে? যে প্রতিযোগিতায় জিতেছিল, সে প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার পরপরই মারা যায়। পরে দেখা গেল তার রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইড (এক প্রকার বিষাক্ত গ্যাস) মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে বৃদ্ধি পাওয়ায় সে মৃত্যুমুখে পতিত হয়। কোকে কার্বন ডাই অক্সাইডের উপস্থিতির কথা যে কোন শিক্ষিত মানুষই জানে। কিন্তু এ কথা কয়জন জানে যে, কার্বন ডাই অক্সাইডের কারণেই কোকের চঐ বেড়ে যায়, তরলটি পরিণত হয় শক্তিশালী এসিডে। সাধারণভাবে মানুষের হাড়, দাঁত খোলা পরিবেশে হাজার হাজার বছর টিকে থাকতে পারে। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, কোকের গ্লাসে যদি একটি দাঁত রাখা হয় তা ত্রিশ দিনের মধ্যে গলে কোকের মধ্যে মিশে যাবে। এর কারণ কোকের এসিড দাঁতের পদার্থের সাথে বিক্রিয়া করে, শরীরের হাঁড় ও দাঁত মূলত চুন জাতীয় পদার্থের তৈরি, যা কোকের সাথে বিক্রিয়া করে লবণে পরিণত হয়ে কোকের সাথে মিশে যায়। এসব কারণে যে কোন কোল্ড ড্রিংকস শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর সাব্যস্ত হয়েছে। এছাড়াও আপনি যদি নিয়মিত সফট ড্রিংক্স পান করেন তাহলে আপনার কি কি ধরণের স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে? ১ আপনার ওজন বাড়তে থাকবে। ২ বয়স বাড়ার সাথে সাথে আপনার ডায়াবেটিস এর ঝুঁকিও বাড়তে পারে। এবং ৩ আপনার শরীরের ভালো কোলেস্টেরল এর পরিমান কমতে থাকবে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যাবে। কিন্তু কোল্ড ড্রিংকস কি কেবল আমাদের শরীরের ক্ষতি করে? মূলতঃ চরম ক্ষতি সাধিত হয় আমাদের ঈমানের। কোকাকোলা ও পেপসি, দুটোর মালিকই ইহুদী। তারা তাদের পণ্যের মধ্যে, এদের লোগোর মধ্যেও ঈমান ব্বিংসী ফাঁদ পেতে রাখবে, এটাই স্বাভাবিক। কোকাকোলা বাংলাদেশে সবচেয়ে প্রচলিত কার্বনেটেড পানীয়। এর ফর্মুলায় সাতটি উপাদান রয়েছে, তন্মধ্যে একটি গোপনীয় বা এক্স উপাদান। এটি যে কী তা কোম্পানির মালিকেরা আর নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি, যাদের সাথে কোক কোম্পানির চুক্তি রয়েছে না বলার জন্য এ ব্যতীত কেউই জানে না। সুতরাং এটি সন্দেহজনক বস্তুর অন্তর্ভুক্ত। যা কোন পরহেযগার ব্যক্তির পক্ষে গ্রহণ করা সম্ভব নয়। কিন্তু কোকের মূল ঈমানবিধ্বংসী অস্ত্র হচ্ছে এর লোগো। কোকের লোগো আয়নার সামনে ধরলে কোকের লোগোর আসল বক্তব্য ফুটে উঠবে। If you read it from left to right (mirror orientation) it clearly says: “NO MUHAMMAD NO MEKKAH” in arabic letters অর্থাৎ শব্দটি ইংরেজী হলেও আয়নার সামনে লোগোটি আরবী শব্দের রূপ নেবে। যার অর্থ দাঁড়ায়, ‘নাই মুহম্মদ নাই মক্কা’ (নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক) ইহুদীরা ইসলামের প্রাথমিক যুগে, তাদের নবী-রসূল আলাইহিমুস্‌ সালামগণকে শহীদ করার স্বভাবজাত খাছলতের মতোই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেও শহীদ করতে চেয়েছিল (নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক)। কিন্তু তারা সক্ষম হয়নি। কোকের গায়ে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিষেদগার করে তারা এখনও তাদের ব্যর্থতার জ্বালা মেটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। PEPSI শব্দটি ভাঙলে এর অর্থ দাঁড়ায়- Pay each penny to save Israel অর্থাৎ পেপসি কোম্পানির প্রতিটি পেনি বা পয়সা ইসরাইলের জন্য উৎসর্গিত। ইহুদী শাসিত কোল্ড ড্রিংকস কোম্পানিগুলো উপার্জনের একটা বড় অংশ ইসরাইলের জন্য ব্যয় করে থাকে। এর অর্থ দাঁড়ায় ৭ ঊর্ধ্বে। অর্থাৎ লাকি ৭ এর পক্ষে প্রচারণা। যা কিনা GOD শব্দটাকে গ্রহণ করে মুসলমানদের জন্য শিরকের শামিল। অর্থাৎ কোল্ড ড্রিংকস কোম্পানিগুলোর নামে মধ্যেই ঈমানবিধ্বংসী ফাঁদ পেতে রাখা হয়েছে। আম লোক এসব তো দূরের কথা, কোল্ড ড্রিংকসে যে অ্যালকোহল রয়েছে, এ সম্পর্কেও ওয়াকিফহাল নয়। সউদী আরবে পানির চেয়ে কোকের দাম কম। এ জন্য প্রায় সবাই পানির বদলে কোক খেয়ে থাকে। (নাঊযুবিল্লাহ) ইহুদীরা মুসলমানদের আমলগুরো নষ্টের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সব দেশেই পানির চেয়ে অ্যালকোহল সহজলভ্য করে রেখেছে। আমাদের দেশে ইতফতারিতে সবাই ঠাণ্ডা শরবত বা পানীয় আশা করে। এ মাসে কোকের প্রচারণা বেড়ে যায়, তাদের ব্যবসায়িক স্লোগান হয, ‘ইফতারিতে কোক খান্তু। রোযাদাররা না বুঝে তাদের রোযা ভঙ্গ করছেন অ্যালকোহল দিয়ে। (নাঊযুবিল্লাহ) আমাদের দেশে বিয়ে বা পারিবারিক অনুষ্ঠানে পোলাও বিরিয়ানির পর কোক পরিবেশন অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে ঈদে কোকের বিক্রি সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। আল বাইয়্যিনাত শরীফ-এর ১৩৬-১৬০তম সংখ্যায় কোমল পানীয়তে অ্যালকোহলের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে।

No comments:

Post a Comment