প্রিয়নবীর(দ.) ভালবাসাই ঈমানের প্রাণকেন্দ্র
ر واليه النوروهو النور صل وسلم وبا رك على نورك المنير الذى خلقته
من نورك وخلقت من نوره الخلق جميعا وعلى اشعة انواره واله واصحابه نجومه
واقماره اجمعين- امين….. فا عوذ با الله السميع العليم من الشيطا ن الرجيم –
وببركة بسم الله الرحمن الرحيم- الذين يتبعون الرسول النبى الامى الذىيجد
ونه مكتو با عندهم فى التورت والانجيل يامرهم بالمعروف وينههم عن المنكر
ويحل لهم الطيبا ت ويحرم عليهم الخبيث ويضع عنهم اصرهم والاغلل التى كانت
عليهم – فا الذين امنوابه وعزروه ونصروه واتبوا النور الذى انزل معه اولئك
هم المفلحون – অর্থ- ওই সব লোক, যারা দাসত্ব করবে এ পড়াবিহীন অদৃশ্যের
সংবাদ দাতা রাসূলের, যাঁকে লিপিবদ্ধ পাবে নিজেদের নিকট তাওরাত ও ইনজীলের
মধ্যে, তিনি তাদেরকে সৎকর্মের নির্দেশ দেবেন এবং অসৎ কাজে বাধা দেবেন। আর
পবিত্র বস্তুগুলো তাদের জন্য হালাল করবেন এবং অপবিত্র বস্তুগুলো তাদের উপর
হারাম করবেন। আর তাদের উপর থেকে ওই কঠিন কষ্টের বোঝা ও গলার শৃংখল যা তাদের
উপর ছিলো, নামিয়ে অপসারিত করবেন। সুতরাং ওই সব লোক যারা তাঁর উপর ঈমান
আনে, তাঁকে সম্মান করে, তাঁকে সাহায্য করে এবং ওই নুরের অনুসরণ করে যা তাঁর
সাথে অবতীর্ণ হয়েছে তারাই সফলকাম হয়েছে। কানযুল ঈমান,সূরাঃ আল-আ’রাফ,
আয়াত নং-১৫৭ শাব্দিক বিশ্লেষণে আয়াতের মর্মার্থঃ الذين ঐ সব লোক যারা
يتبعون অনুসরণ করে/দাসত্ব স্বীকার করে الرسول النبى الامى পড়া বিহীন
অদৃশ্যের সংবাদ দাতা রাসুলের الذي যাকে يجدونه তারা পাবে مكتوبا লিপিবদ্ধ
عندهم তাদের নিকটে فى মধ্যে التوراة والانجيل তাওরাত ইঞ্জিলে يأمرهم তিনি
তাদেরকে নির্দেশ দিবেন بالمعروف সৎকর্মের وينههم এবং বাধা দিবেন عن المنكر
অসৎকাজের ويحل এবং হালাল করবেন لهم তাদের জন্য الطيبات পবিত্র বস্তু গুলো
ويحرم এবং হারাম করবেনعليهم তাদের উপর الخبئث অপবিত্র বস্তু সমুহ ويضع এবং
অপসারিত করবেন عنهم তাদের উপর থেকে اصرهم কঠিন বোঝা والاغلال এবং গলার
শৃঙ্খল التى যা كانت ছিল عليهم তাদের উপর فالذين সুতারাং ঐ সব লোক যারা
امنوا به তাঁর উপর ঈমান আনে وعزروه তাঁকে সম্মান করে ونصروه তাঁকে সাহায্য
করে واتبعوا অনুসরণ করে النور নূরের الذى যা انزل معه তাঁর সাথে অবতীর্ণ
হয়েছে اولئك هم তারাই المفلحون সফলকাম প্রাসঙ্গিঁক আলোচনাঃ অনন্ত, অসীম
প্রেমের আধার মহান আল্লাহ তা’আলা অত্র আয়াতে কারীমাতে প্রিয়নবী হযরত
মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লামের নয়টি
বৈশিষ্ট্য বর্ণনা দিয়েছেন। তা আপনাদের সম্মুখে একের পর এক ব্যক্ত করার
প্রয়াস পাচ্ছি। ১ম বৈশিষ্ট্যঃ তাঁর (দ:) রাসূল হওয়া। এই শব্দ তার জন্যই
সুবিদিত হয় যাকে মহান আল্লাহ তা’আলা তাঁর সৃষ্টির প্রতি দ্বীন ই- হক্ব
পৌছানোর জন্য যথেষ্ট হিসেবে প্রেরণ করেন। ২য় বৈশিষ্ট্যঃ তাঁর (দ:) নবী
হওয়া এর দ্বারা নবীজি (দঃ) মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট অত্যধিক মর্যাদার
আসনে সমাসীন- তারই বহিঃ প্রকাশ। ৩য় বৈশিষ্ট্যঃ তাঁর (দ.) ‘উম্মী’ হওয়া।
আহলে তাহকীকগণ- নবীজির (দ.) ‘উম্মী’ হওয়াকে এক মহান মু’জিজা’ বলে আখ্যা
দিয়েছেন। কেননা নবীজি সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরবীদের
সামনে কিতাবুল্লাহ তথা আল-কুরআন বারংবার তিলওয়াত করতেন। যেখানে শব্দগত বা
বাক্যগত কোন পরিবর্তন বা পরিবর্ধনের বিন্দুমাত্র অবকাশ ছিলনা। অথচ আরবের
খতিবগণ যদি কোন খুতবা প্রদান করেন এবং তা পূণরা বৃত্তি করলেন তাতে দেখা যেত
তারতম্য সৃষ্টি হত। কখনো বক্তব্য বৃদ্ধি হয়ে যেত নতুবা বক্তব্য হ্রাস
পেত। ইতিহাসের মৌলিক অধ্যায়ের বাগ্মী আরবদের মাঝে মহান নবীর বক্তব্য লিখনী
এবং কিতাবুল্লাহর তিলওয়াত পরিবর্তন, পরিবর্ধন মুক্ত হওয়া ছিল এক
অবিস্মরনীয় মু’জিজা। যার প্রমাণে মহান আল্লাহর ঘোষনা سنقرئك ولاتنسى
নিশ্চয়ই আমি আপনাকে পড়াব, ফলে আপনি বিস্মৃত হবেন না। (সূরা- আ’লা, আয়াত
নং-৬) অত এব, মহান আল্লাহ তা’আলা নবীজি (দ.) কে আগে ও পরের সকল জ্ঞান দান
করেছেন। জ্ঞান- বিজ্ঞানের নিগুঢ় রহস্যের স্বরুপ উম্মোচন করেছেন। এমন জ্ঞান
ভান্ডার দান করেছেন যা অনুধাবন করা কোন ‘বশর’ এর পক্ষে সম্ভব নয়। ৪র্থ
বৈশিষ্ট্যঃ আল্লাহ তা’আলার বাণী “যাঁকে লিপিবদ্ধ পাবে তাদের নিকট বিদ্যামান
তাওরাত ও ইনজীল’ এর মধ্যে”। এর দ্বারা বুঝা যায় যে, নিশ্চয়ই রাসুলে
পাকের প্রশংসা ও নবুয়তের সত্যতা তাওরাত ও ইনজীল গ্রন্থে বিদ্যমাণ ছিল। যদি
তা না হত তবে মহান আল্লাহ বর্ণিত এ কথাটি ইহুদী ও নাসরাগণ চরম অস্বীকৃতি
জ্ঞাপন করত। মহান রাব্বুল আলমীনের ঘোষনাই প্রিয়নবী (দ.) এর নবুয়তের
সত্যতার সর্বশ্রেষ্ঠ প্রমাণ। ৫ম বৈশিষ্ট্যঃ মহান আল্লাহর বাণী “তিনি
তাদেরকে সৎকর্মের নির্দেশ দেবেন”। ৬ ষ্ঠ বৈশিষ্ট্যঃ তিনি তাদেরকে অসৎকাজে
বাধা দেবেন। ৭ম বৈশিষ্টঃ আর পবিত্র বস্তু গুলো তাদের জন্য হালাল করবেন।
এখানে পবিত্র বস্তু বলতে উদ্দেশ্য নেয়া হয়েছে, যা হালাল বলে আল্লাহ
নির্দেশ দিয়েছেন। ৮ম বৈশিষ্ট্যঃ ‘‘এবং অপবিত্র বস্তুসমূহ তাদের উপর হারাম
করবেন।’’ হযরত আ’তা রাদ্বিয়াল্লাহু তা’লা আনহু হযরত ইবনে আব্বাস
রাদ্বিয়াল্লাহু তা’লা আনহু থেকে বর্ণনা করেন এর দ্বারা মৃত জন্তু ও
রক্তপাত বুঝানো হয়েছে। ৯ম বৈশিষ্ট্যঃ ‘‘এবং তাদের উপর থেকে ওই সব কঠিন
কষ্টের বোঝা ও গলার শৃংখল নামিয়ে অপসারিত করবেন, যা তাদের উপর ছিল।’’
এখানে কঠিন কষ্টের বোঝা বলতে হযরত মুসা আলাইহিস সালামের শরীয়ত কেই বুঝানো
হয়েছে। যা অত্যান্ত কঠিন ছিল। আর গলার শৃংখল বলতে তাদের ইবাদতের কঠিনতা
বুঝানো যেমনঃ প্রস্রাবের চিহ্ন যুক্ত অঙ্গ কর্তন করা, তাওবাকরনে আত্মাহুতি
দেয়া, প্রভৃতি। আর এসব কষ্টের অবসান ঘটানোর লক্ষেই প্রেরিত হলেন মানবতার
মুক্তির দূত দয়াল নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তা’ আলা আলাইহি
ওয়াসাল্লাম। প্রিয়নবীর ৯টি বৈশিষ্ট্য বর্ণনা পূর্বক মহান আল্লাহ তা’আলা
নবী করিম সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সম্পর্ক বজায়
রাখার নির্দেশ প্রদানের এরশাদ করেছেন فا لذين امنوا به وعزروه ونصروه
واتبعوا النور الذى انزل معه‘ اولئك هم المفلحون . অতঃপর যে সকল লোক তাঁর
[এই মহান নবীর (দ.)] উপর ঈমান আনবে, তাঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শণ করে এবং
তাঁকে সাহায্য করে এবং তাঁর সাথে অবতীর্ণ নূরের অনূসরণ করে তারাই সফলকাম।
(বিস্তারিত দেখুন-তাফসীরে কবীর) অর্থাৎ দ্বীন-ধর্ম, ঈমান-আমল,
জ্ঞান-বিজ্ঞান, দাওয়াত এককথায়-সমগ্রদ্বীনের কর্মকান্ডের কেন্দ্র আমাদের
প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম। সমগ্র
দ্বীনের ‘‘কেন্দ্র’’ বুঝাতে গিয়ে কুরআন বলছে- আল্লাহ তা’আলার বানী- ادع
الى سبيل ربك با لحكمه والمو عظة الحسنة (হে সম্মানিত রাসুল!) আপনি আপন
রবের পথে আহ্বান করুন পরিপক্ক কলা কৌশল ও সদুপদেশ দ্বারা।(সূরা নহল- আয়াত
নং-১২৫) এখানে একটি বিশেষ তত্ত্ব বুঝানো হচ্ছে। আর তা হলো এই যে, এভাবেও তো
আল্লাহ বলতে পারতেন, যে, হে মাহবুব! আপনি মানুষকে প্রভুর দিকে বা রবের
দিকে আহ্বান করুন রবের পথ দেখান। অথবা এভাবেও তো বলতে পারতেন, মানুষকে
সমগ্র পৃথিবীর রবের দিকে আহ্বান করুন, বা মানুষকে তাদের রবের দিকে আহ্বান
করুন। সর্ব ক্ষেত্রে রবের কথাই তো হত কেননা তিনিই তো সকলের রব। কিন্তু মহান
আল্লাহ তা’য়ালা এভাবে কথা বলেননি। অন্যান্য সকল সম্পর্ক ব্যতিরেকে আপন
প্রভুত্বের কথা আপন মাহবুবের সম্পর্কের মধ্য দিয়েই ঘোষণা দেন। (হে
মাহবুব!) আপনি আপন রবের পথে আহবান করুন। তাদেরকে আমার পরিচয় দিন, আমার রব
হওয়ার কথা জানিয়েদিন তবে এভাবে নয় যে, তারা সরাসরি আমার দিকে দৌড়ে
আসবে। তাদেরকে আমার স্মরণ সম্পর্কে অবহিত করুন। তবে এভাবে নয় যে, তারা
আপনাকে ভুলে যাবে। তাদেরকে আমার সৌন্দর্য্যতা দেখান আপনার সৌন্দর্য দ্বারা।
আমার পূর্ণতা দেখান আপনার পূর্ণতা দ্বারা। আমার প্রতি পৌছাবেন এমনভাবে যে,
সর্বপ্রথম আপনার নিকট পৌছবে। আমার দরবারে আসবে কিন্তু এমন ভাবে যে, আপনার
সমীপে অবনত হবে। এভাবে যদি আমি পর্যন্ত বান্দা অগ্রসর হয় তবে তা
গ্রহণযোগ্য নতুবা অন্যান্য পদ্ধতি নিগৃহীত। আর মহান আল্লাহ সমগ্র মানব
জাতিকে সতর্ক করে ঘোষনা দিচ্ছেন। তোমরা সকল সম্পর্কে ভুলে যাও। আর
শুধুমাত্র রব বলে তাকেই মান যিনি আমার মুস্তফা সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি
ওয়াসাল্লামের রব। আর যিনি আমার মাহবুবের রব তিনিই কুলকায়েনাতের রব।
হুজুর সাল্লাল্লহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামের জাত’ই ঈমানের মূল কেন্দ্র।
আপনাদের সম্মুখে আমি যে আয়াতে কারীমা উপস্থাপনা করেছি তাতে ঈমানের চারটি
মূল ভিত্তি আলোকপাত করা হয়েছে। ১। হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি
ওয়াসাল্লামের উপর ঈমান আনা। ২। সীমা অতিক্রম করে হুজুরে আকরাম
সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা। ৩।
হুজুরে আকরাম সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লামের দ্বীনের সাহায্য
করা। ৪। হুজুর সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লামের শিক্ষার পূর্ণ
অনুসরণ করা। আসুন ! এবার আমরা বিশদ আলোচনায় মনোনিবেশ করি। * হুজুরে পাক
সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভালোবাসাই ঈমানের প্রাণকেন্দ্রঃ
প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামের
রিসালতের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের প্রধান সুত্র হচ্ছে নবী করিম (দ.) উপর ঈমান
আনয়ন করা। পবিত্র কুরআনে পাকে মহান আল্লাহু তা’য়ালা স্বয়ং নিজের সাথে
আপন মাহবুব (দ.) এর উপর ঈমান আনয়নের অসংখ্য আয়াত নাযিল করেন। শুধু তাই
নয় রাসূলে খোদা (দ.) এর উপর ঈমান আনাই মহান আল্লাহর উপর ঈমান রাখার পরিচয়
প্রদানে যথেষ্ট বলেও ঘোষনা দিয়েছেন। ঈমান প্রকৃত পক্ষে হুজুর আকরাম
সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা
প্রদর্শনের নাম। প্রিয় নবী (দ.) এর সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তোলার
নামই তাঁর (দ.) উপর ঈমান রাখার প্রকৃত বহিঃ প্রকাশ। নবী করিম (দ.) ইরশাদ
করেন- لايؤمن احدكم حتى اكون احب اليه من ولده ووالده والناس اجمعين – متفق
عليه অর্থাৎ- তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হবে না,
যতক্ষণ না, আমি তার নিকট স্বীয় সন্তান-সন্তুতি, পিতা মাতা এবং সকল মানুষের
চেয়ে প্রিয় হব। [তথ্য সূত্রঃ সহীহ বুখারী, কিতাবুল ঈমান, হাদিস নং- ১৫,
সহীহ মুসলিম হাদীস নং - ৪৪] উল্লেখ যে, ইমাম বুখারী (র.) সহীহ বুখারীতে
একটি বাব তথা অধ্যায় সন্নিবেশিত করেছেন প্রিয় নবীর (দ.) ভালোবাসাকে ঈমান
বলে ঘোষনা দিয়ে। যে বাবের শিরোনাম- باب حب الرسو ل صلىالله عليه وسلم من
الايمان হযরত ওমর ফারূক রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি একদা
হুজুরে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে আরয করলেন لانت احب
الى من كل شى الانفسى التى بين جنبى فقا ل النبى صلى الله عليه وسلم لا
يومن احدكم حتى اكون عنده احب اليه من نفسه- فقال عمر فلآ نت الآن والله
احث الى من نفسى- فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم – الان يا عمر. আমার
দুই আলিন্দের মাঝখানে যে আমার আত্মা, কেবল তা ব্যতিরেকে আপনি আমার নিকট
সর্বাধিক প্রিয়পাত্র। এতদশ্রবনে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম
এরশাদ করেন তোমাদের মধ্যে কেউ সে অবধি মু’মিন নয়, যে পর্যন্ত না আমি তার
কাছে তার আত্মার চেয়েও অধিকতর প্রিয় পাত্র হই। রাসুলের এই বাণী শুনে হযরত
ওমর ফারূক (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বললেন, (তাই যদি হয়) তবে আল্লাহর কসম!
আপনি আমার কাছে আমার দুই অলিন্দের মাঝখানের আত্মার চেয়েও অধিক প্রিয়।
অতঃপর রাসুলে সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলায়হি ওয়াসাল্লাম তাঁকে উদ্দেশ্য
করে বললেন, ওমর! এক্ষনে তোমার ঈমান পরিপূর্ণ হল। [ তথ্য সূত্রঃ কাযী আয়ায
(রহ), শিফা শরীফ, ২/১৫] তাই বলা যায়, ঈমানের মূল বা বুনিয়াদ হচ্ছে হুজুর
সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের প্রতি অকৃত্রিম ইশক ও ভালবাসা। আল্লামা
ইকবাল (রহ.) সত্যই বলেছেন- مغزقران روح ايمان جا ن دل + هست حب رحمة
للعالمىن কুরআনের মূল, ঈমানের আত্মা, দ্বীনের প্রাণ মূলতঃ রহমাতুল্লিল
আলামীন, সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামেরই ভালোবাসা। এভাবে মহান আল্লাহ
তা’আলা যেখানেই নিজের একত্ববাদের আলোচনা এনেছে, সেখানে নিজের হাবীবের
রিসালতের বর্ণনাও এনেছেন। যখন মানুষ হুজুর সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি
ওয়াসাল্লামের আনুগত্য করে তখন তা আল্লাহর আনুগত্য বলে বিবেচিত হয়। যেমন :
আল্লাহ তা’আলার বাণী- من يطع الرسول فقد اطاع الله যে রাসুলের আনুগত্য
করে, নিশ্চয়ই সে আল্লাহর আনুগত্য করে। (সুরা নিসা, আয়াত নং- ৮০) আর
হুজুরের ভালোবাসা ও অনুস্মরণই মহান আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়ার পূর্ব শর্ত।
মাওলায়ে কায়েনাতের কত সুন্দর আহবান- قل ان كنتم تحبون الله فا تبعونى
يحببكم الله (হে মাহবুব!) আপনি বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস তাহলে আমার
অনুস্মরণ কর। তখন আল্লাহ ও তোমাদেরকে ভালোবাসবেন। (সূরা আলে ইমরান, আয়াত
নং-৩১) অর্থাৎ কেউ যদি আল্লাহর প্রেমিক হতে চায়, তবে তার জন্য হুজুরের
(দ.) ইত্তিবাহ তথা অনুসরণকে শর্ত করে দেয়া হয়েছে। আর যদি কেউ আল্লাহ তার
উপর ভালোবাসার দৃষ্টি রাখুন এমন চায় তার জন্য ও আবশ্যিক শর্ত করা হলো
প্রিয়নবী (দ.) এর অনুস্মরণ । অতএব, সিদ্ধান্ত হলো যে, নবী করিম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আনুগত্য ও অনুস্মরণ ব্যতীত আল্লাহর
প্রেমিকও হওয়া যাবে না এবং আল্লাহর ভালোবাসা কামনা করাও অসম্ভব। হাদীসে
পাকে এসেছে ফেরেস্তাগণের একটি জামা’আত ঘোষনা করেন- من اطا ع محمدا فقد اطاع
الله ومن عصى محمدافقد عصى الله و محمد صلى الله عليه وسلم فرق بين الناس.
হে মানুষ! শুনে রাখ, যে হযরত মুহাম্মদ (দ.) এর আনুগত্য করে প্রকৃতপক্ষে সে
যেন আল্লাহর আনুগত্য করে। আর যে, হযরত মুহাম্মদ (দ.) এর নাফরমানি করে সে
যেন, বাস্তবিকই আল্লাহর নাফরমানি করে। আর সকল হক্ব বাতিল, ঈমান-কুফুর,
এমনকি মু’মিন ও কাফেরের মাঝে পার্থক্য নিরুপনের একমাত্র উপায় জাতে মুস্তফা
(দ.) । [সহীহ বুখারী, কিতাবুল ই’তিসাম] সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহর রাসুলের
দরবারে ঝুকে গেল এবং গোলামে রাসুলের হার আপন গলায় পরিধান করে নিল, সেই
পূর্ণ ঈমানদার হয়ে গেল। অন্যথায় যে অস্বীকার করে, সে মুনাফিক এবং কাফের
হিসেবে পরিগণিত। কেননা-“ محمد فرق بين النا س” মু’মিন ও কাফেরের মাঝে
পার্থক্য করার একমাত্র হাতিয়ার আমার প্রিয়নবী রউফুর রহীম হুজুর
সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম। প্রিয় সুধী! আমার মত অতি নগন্য,
ক্ষুদ্র ব্যক্তি কীভাবে মকামে মুস্তফা বর্ণনা করব। যে দয়াল নবীর মুখের
কথা আল্লাহর ওহী। কুরআন এরশাদ করছে- وما ينطق عن الهوى ان هوالاوحىيوحى “আর
তিনি নিজ (আত্মার) ইচ্ছায় কোন কথা বলেন না, তিনি শুধু তাই বলেন, যা
আল্লাহর পক্ষ থেকে তার উপর ওহী প্রেরীত হয়। (সূরা নজম, আয়াত নং- ৩-৪) যে
প্রানের নবীর কাজ আল্লাহ নিজ কাজ বলে ঘোষণা দেন- وماﺭميت اذ ﺭميت ولكن الله
ﺭمى (হে মাহবুব!) আপনি নিক্ষেপ করেননি যখন আপনি নিক্ষেপ করেন বরং তা
আল্লাহই নিক্ষেপ করেন।(সুরা আনফাল, আয়াত নং- ১৭) আর যখন আমরা নবীজি (দ.)-র
পদক্ষেপ গ্রহণ আল্লাহর সাথে সম্পর্কিত পাওয়া যায় কিনা , এ ব্যাপারে
অন্বেষন করে তখন কুরআন উত্তর দেয়- ان الذين يبايعونك انما يبايعون الله يد
اللهﻑﻮﻖايديهم- ( হে রাসুল (দ.) ) নিশ্চয়ই যারা আপনার কাছে বায়’আত করেছে
প্রকৃত পক্ষে তারা আল্লাহর কাছে বায়’আত করেছে, এমনকি আল্লাহর কুদরতি হাত
তাদের হাতের উপর বিদ্যমান। পরিশেষে বলছি, মহান আল্লাহ তা’আলা নিজের
একত্ববাদের ঘোষনা দেন- قل هو الله احد হে মাহবুব! আপনি বলূন, আল্লাহ একক।
আল্লাহ সংবাদ দিচ্ছেন তিনি এক, একক। সাধারণত সংবাদের পূর্বে সংবাদদাতার উপর
বিশ্বাস রাখা আত্যাবশ্যক। আল্লাহ নিজের তাওহীদের তথা একত্ববাদের ঘোষনা
দিচ্ছেন তাঁর আপন হাবীবের মাধ্যমে। তাই তাওহীদ মানার পূর্বে রিসালত মানা
আবশ্যক। তাই নবীজির উপর ঈমান রাখাই আল্লাহর উপর ঈমান স্থাপনের পূর্ব শর্ত।
প্রিয় আশেকান! এতক্ষন আপনারা কুরআন সুন্নাহর আলোকে প্রিয় নবী হুজুরে করীম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শানমান, ও মর্যাদা এবং ঈমানের মূল
কেন্দ্র হওয়ার বিষয়টি অত্যান্ত ক্ষুদ্র পরিসরে জানার সৌভাগ্য অর্জন
করেছি। চলুন এবার জেনে নিই বিভিন্ন ধর্মনেতাদের মতে হযরত মুহাম্মদ (দ.)।
হিন্দু ধর্ম প্রনেতা মনু বলেছেন- “হোতারমিন্দ্রো হোতারমিন্দ্রো
মহোসুরিন্দ্রাঃ। অল্লো জ্যেষ্ঠং শ্রেষ্ঠং পরমং পূর্ণং ব্রক্ষনং অল্লাম।
অল্লোহর সল্ল মহসদরং কং বরস্য অল্লো অল্লাম। আদল্লাং বুক সেকং আল্লবুকং
নির্খাত কম” [অল্লোপনিষদ -সপ্তম পরিচ্ছদ] অর্থাৎ “আমার অস্তিত্ব আছে আমি
মহা ইন্দ্রেুর ইন্দ্র্। আমি জ্যেষ্ঠ শ্রেষ্ঠ পরমপুর্ণব্রহ্ম। আমি আল্লাহ।
আল্লাহর রাসুল মুহাম্মদ তুল্য আর কে আছে? আমি আল্লাহ। আল্লাহ সহায়,
অবিনশ্বর , এক এবং ধয়ম্ভু” আল্লাহ সম্বন্ধে সঠিক ধারণা দেবার সঙ্গে সঙ্গেই
এ মহা মনীষী ‘‘মনু’’ বলেছেন যে, আল্লাহর মুহাম্মদ (দ.) যার তুল্য এ বিশ্বে
আর কেউ নেই। এমন সুস্পষ্ট ও সত্যবানী প্রচার করা সত্ত্বেও যারা ‘‘আল্লাহ’’
শব্দ উচ্চারন ও ‘‘মুহাম্মদ (দ.)’’ তাঁর প্রেরীত পয়গাম্বর বা রাসুল এ কথা
বিশ্বাস করতে চান না তাঁরা দেখুন এ মহান ব্যক্তি কোন ভাষায়, কোন আবেগে
আল্লাহ ও রাসুলের প্রশংসাগীতি গেয়েছেন। “আল্লাহ রসল্ল মুহাম্মদঃ কং বরস্য
অল্ল অল্লম, ইল্ললোতি ইল্ললা” [অথর্ববেদ উপনিষদ) অর্থাৎ: মুহাম্মদ আল্লাহর
রাসুল যে আল্লাহ ছাড়া অন্যকোন উপাস্য নেই। “লা ইলাহা হরতি পাপম ইল্ল ইলহা
পরম পদম। জন্ম বৈকুন্ঠপর অপ্ ইনুতিত জপি নাম মোহাম্মদম্।” [উত্তরায়ন বেদ,
অনকাহি, পঞ্চম পরিচ্ছেদ] অর্থাৎ: “লা- ইলাহা বললে সমস্ত পাপ মাফ হয়।
ইল্লাল্লা বললে প্রচুর সম্মানের অধিকারী হয়। যদি চিরতরে স্বর্গে বাস করতে
চাও তবে মুহ্ম্মাদের নাম জপ কর।” * বৌদ্ধ ধর্মনেতা গৌতম বুদ্ধ বলেছেনঃ-
“মানুষ যখন গৌতম বুদ্ধের ধর্ম ভুলিয়া যাইবে, তখন আর একজন বুদ্ধ আসিবেন,
তাঁহার নাম “মৈত্রেয়’ অর্থাৎ শান্ত ও করুণার ব্দ্ধু।” আনন্দ যখন বুদ্ধকে
জিজ্ঞাসা করেন, আপনার তিরোধানের পর কে আমাদিগকে শিক্ষা দিবেন? বুদ্ধ তখন
প্রতি উত্তরে বলেন- I am not the first Buddha Who came on the earth nor
shall I be the last; In one tine another Buddha will arise in the world,
a holy one a supremely enlightened one endowed with wisdom in conduct,
He will proclaim a religious life. wholly perfect and pure such as I now
proclaim. Ananda said-How shall we know him? the blessed one said he
will be known as MAITREYA” অর্থাৎ- ‘‘আমিই জগতের প্রথম এবং শেষ বুদ্ধ নই।
এক সময় এই পৃথিবীতে অন্য একজন বুদ্ধের আগমন হবে, যিনি আমার চেয়েও পবিত্র ও
আলোক প্রাপ্ত ও অনন্য সাধারণ চরিত্রের অধিকারী, তিনি আমার মত এক পুর্ণাঙ্গ
ও নিস্কলুষ ধর্মমত প্রচার করবেন। আনন্দ জিজ্ঞাসা করলেন, “আমরা কিরুপে
তাঁকে চিনব?” বুদ্ধ বললেণ, “তাঁর নাম হবে মৈত্রেয়।” মৈত্রেয় অর্থাৎ
“শান্তি ও করুনার বুদ্ধ” অর্থাৎ মুহাম্মদ (দিঘা- নিকায়া সংগৃহীত-
বিশ্বনবী’ গোলাম মোস্তফা) স্বামী বিবেদন্দ বলেছেন:- “মুহাম্মদ ছিলেন
সাম্যের মানুষের ভ্রাতৃত্বের, সমস্ত মুসলমানের ভ্রাতৃত্বের পয়গম্বর”
[Swami Vivekananda’s works Vol-1, IV the great teacher of the world Page
129-130] কায়েদে আযম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেছেন:- I Joined ‘Lincon’s
Inn’ because there on the main entrence, the name of the propthet was
included in the list of the great Law-givers of the world. অর্থাৎ:
“লিংকন ইন” আইন কলেজের প্রবেশ পথের উপরে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সংবিধান রচয়িতা
গণের তালিকার মধ্যে পয়গম্বরের নাম উল্লেখ ছিল বলে আমি এই আইন কলেজ ভর্তি
হয়েছিলাম। [সংগৃহীত- সৃষ্ঠির শ্রেষ্ঠ মানব ও ধর্ম] শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী
বলেছেন: ১৯৮০খ্রী: বিশ্বনবীর জম্মদিন উপলক্ষে ভারতের প্রধান মন্ত্রী
বলেছেন] “হযরত মুহাম্মদ (দ.) এর জীবনাদর্শ সারা বিশ্বের নিকট আজ অত্যান্ত
মুল্যবান। সমস্ত শ্রেনীর মানুষেরই উচিত তাঁর আদর্শকে অনুসরন করা। জর্জ
বার্নাডশ বলেছেন:- “আমি বিশ্বাস করি সমগ্র বৃটিশ সাম্রাজ্য এই শতাব্দী শেষ
হওয়ার আগেই সংস্কার কৃত মুহাম্মদবাদ গ্রহন করবে” কথাটাকে নিশ্চিত করার
জন্য জিজ্ঞাসিত হলে তিনি বলেন, “সব সময়েই আমি মুহাম্মদের ধর্ম সম্পর্কে,
তাঁর আশ্চর্য জীবনী শক্তির জন্য উচ্চ শ্রদ্ধা পোষন করে এসেছি। এটাই একমাত্র
ধর্ম যা আমার কাছে অস্তিত্বের পরিবর্তনীয় স্তর সমুহের ঐকান্তিক ধারক বলে
মনে হয়েছে নিজেকে তা প্রত্যেক যুগের কাছেই তা অনুভুতি জাগ্রত কারী রূপে
সাজিয়ে নিতে পারে, আমার মতে বিখ্যাত লোকদের ভবিষ্যদানীর উপর দুনিয়া
অবশ্যই সন্দেহাতীত উচ্চ তাৎপর্য আরোপ করবে। মুহম্মদের ধর্ম সম্পর্কে আমি
ভবিষ্যদানী করছি যে, আগামী দিনে তা গ্রহনীয় হবে, যেমন আজকের ইউরোপের কাছে
তা গ্রহনীয় হতে আরম্ভ করেছে। মধ্যযুগীয় পাদ্রীবর্গ হয় অজ্ঞতা, নয়
গোঁডামির মাধ্যমে মুহাম্মদবাদকে কৃষ্ণতম রঙে চিত্রিত করেছেন- [প্রকৃত পক্ষে
তাঁরা মানুষ মুহাম্মদ ও তাঁর ধর্ম উভয়কেই ঘৃনা করার জন্য শিক্ষা প্রাপ্ত,
তাদের কাছে মুহাম্মদ ছিলেন খ্রীষ্ট বিরোধী। আমি তাঁকে এই আশ্চর্য
মানুষটিকে অধ্যয়ন করেছি এবং আমার মতে খ্রীষ্টবিরোধী বলাত দুরের কথা, তাকে
অবশ্যই মানবতার উদ্বারকারীই বলতে হবে, “আমি বিশ্বাস করি তাঁর মত কোন
ব্যক্তি যদি আধুনিক জগতের একনায়কত্ব গ্রহণ করতেন তা হলে এমন এক উপায়ে
তিনি এর সমস্যা সমধানের সফল হতেন যা পৃথিবীতে নিয়ে আসত বহু আকাঙ্খিত সুখ ও
শান্তি। (Getting married) পুস্তকের ১৯২৯ সংস্করণ। [সংগৃহীত সত্য সমাগত
এস. এ. সিদ্দিকী বার এট-ল] অতএব, পরিশেষে বলছি, বিশ্বসী মানব সম্প্রদায়ের
নিকট হযরত মুহাম্মদ (দ.) এর শ্রেষ্ঠত্ব চিরকাল অজেয় হয়ে থাকবে। কিন্তু
অবিশ্বাসী ও ভ্রান্ত সম্প্রদায়ের অন্তরে এ শ্রেষ্ঠত্ব দেবে এক নিদারুন
আঘাত। কেননা অবিশ্বাসীরা অবিশ্বাসী হয়েই থাকবে। তারা তাদের নবীকেও যেমন
ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করে অবিশ্বাসী করেছে তেমনি আল্লাহর বানীকেও অবিশ্বাস করে
হযরত মুহাম্মদ (দ.) এর শ্রেষ্ঠেত্বের প্রতি কুঠারাঘাত করেছে এবং করবে। তবু
আমরা আল্লাহর উপর আস্থা রেখে তার বাণী মহান আল্লাহ বলেন- “তুমি প্রত্যেক
সম্প্রদায়ের জন্য পথ প্রদর্শক ও ভয় প্রদর্শনকারী ব্যতীত নহে।’’(সুরা
রা’দ,আয়াত নং ৭) উপর্যুক্ত কোরআনের বাণী সমস্ত সমস্যার সমধান করছে। যারা
স্বীয় গোত্রের নবী বা মহাপুরুষের গৌরবে গৌরবান্বিত যারা মুহাম্মদ (দ.) এর
শ্রেষ্ঠত্বে ক্রোধান্বিত যারা ইসলামের বিজয় মুকুটে সন্দেহাতিত তাদের
অস্তিত্বহীন বাগ আড়ম্বরের অবসান ঘটিয়েছে এ বাণী। বিশ্বমানবের বিভিন্ন
গোত্রের বিভিন্ন চিন্তাধারার সমন্বয় সাধন করতে জম্ম নিয়েছিলেণ এ মহামানব
হযরত মুহাম্মদ (দ.)| তাই আসুন এবারে সকল সন্দেহ ও দ্বন্দের অবসান ঘটিয়ে
আমরা সেই জগৎগুরুর কাছে শ্রদ্ধা নিবেদন করি ও তাকে সালাম জানিয়ে ধন্য হই।
ইয়া নবী সালাম আলাই- কা ইয়া রাসুল সালাম আলাই কা ইয়া হাবীব সালাম আলাই-
কা সালাওয়াতুল্লা আলাই কা। وما علينا الالبلاغ
No comments:
Post a Comment