Thursday, May 22, 2014

মা- যার ভালোবাসায় কোনো সীমানা নেই

মা- যার ভালোবাসায় কোনো সীমানা নেই

সফি দেলোয়ার কাজল   
শনিবার, ১১ মে ২০১৩

‘মা’- আবেগ ভালোবাসা আর অনুভুতি মিশ্রিত একটী নাম। ত্রি-ভুবনের সবচেয়ে মধুরতম শব্দ। যার কোন পরিসীমা নেই। ছোট এই শব্দ পরম মমতা, শ্রদ্ধার সাথে প্রতিনিয়ত উচ্চারিত হয় প্রতিটি সন্তানের মুখে। জীবনের দুঃখ বেদনা আর আনন্দ অনুভূতির নানা সন্ধিক্ষনে মনে পড়ে যায় মায়ের কথা। মা! পরম তৃপ্তি মাখা এই মধুর ধ্বনি  স্বর্গীয় পুণ্যতায় হৃদয়-মনকে পল্লবিত করে তোলে। অমিয় সুধায় ভাসিয়ে দেয় প্রাণ।
তার সহজাত মমত্ব, সর্বংসহা হৃদয় সন্তানকে আগলে রাখে অকৃত্রিম দরদে। জীবনের চরম সংকটকালে পরম মমতার ছোঁয়া যার কাছে পাওয়া যায়, তিনি মা। মায়ের কাছে সন্তান যেমন তার শ্রেষ্ঠ সম্পদ তেমনি মাও সন্তানের কাছে সবচেয়ে পূজনীয় ব্যক্তি। সন্তানের সুখে কিংবা কষ্টে সর্বপ্রথম উচ্চারিত হয় মায়ের নাম। পৃথিবীতে সবচেয়ে গভীরতম সম্পর্ক ‘মা’, সবচেয়ে মধুর শব্দও মা। এই একটি শব্দই মনে করিয়ে দেয় অকৃত্রিম
স্নেহ, মমতা আর গভীর ভালোবাসার কথা।
আমার মা বেঁচে নেই। আজ  নয়  বছর হল আমি মা হারা, আমরা সাত ভাই বোন মা হারা। এক রাশ বেদনার ছোয়ায় আমার মা চিরনিদ্রায় শুয়ে আছে নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডের ওয়াশিংটন মেমোরিয়াল পার্কের শ্যামল  ছায়ায়। 
মায়ের  শুন্যতা আমাকে কষ্ট দেয়। এলো মেলো করে দেয়।   এক রাশ কষ্ট বাসা বাধে আছে বুকের গহীনে।  । তবুও মা আছে আমার অনুভবে, আমার অস্তিত্বে, আমার চিন্তায়, আমার কর্মে।
জীবনের সাফল্যের সোনালী মুহুর্তে কিংবা চরম সঙ্কটকালে পরম আনন্দ কিংবা সান্ত্বনার ছবি হয়ে তুমি থাকত আমাদের পাশে। আমার বাবার অকাল মৃত্যুর পরে পরম স্নেহে, আদরে, শাসনে আমাদের আগলে রেখেছিলে আমাদের
গর্ভধারনী মা।
মার সাথে ছিল আমার বন্ধুত্বের সম্পর্ক।  তাইতো জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে   আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে আমার মমতাময়ী মায়ের প্রিয় মুখটি। মা ছিল আমাদের সংসারের চালিকা শক্তি। অতি যত্নে আমাদের আগলে রেখে ছিল, মানুষ করেছিল। কখনও শাসনে কখনও আদরে তিনি আমাদের বড় করেছেন।
মাঝ সংসারে পিতৃহীন হওয়ার  পর আমার মা অসম্ভব এক যুদ্ধের ময়দানে লড়াই করে গেছেন সারাটা জীবন।  যখনই সময় পেতে  মা সবসময় সততা আর আদর্শের কথা  বলতেন। বলতেন নানার আদর্শের কথা।
শিক্ষক পিতার কন্যা হিসাবে মা সব সময় গর্ব করতেন। ।  তার মাঝে  এতখানি ধৈর্য, সহনশীলতা আর মানবতা আমি খুব বেশি মানুষের  মাঝে দেখিনি।
ছোট বেলা থেকেই আমি কখনও নিয়ম মেনে বড় হই নি। সদা ব্যস্ত, যতটা না লেখা পড়ার তার চেয়ে বেশী অন্য কিছু। সেই ছোট বেলায় দেওয়াল পত্রিকা, সাইক্লোস্টাইল পত্রিকা, সাহিত্য আসর আর ছোট ছেলে মেয়েদের নিয়ে "এসো কিছু শিখি" ধরনের নানা কর্মকান্ডে জড়িয়ে ছিলাম আমি। আর এই সবই হয়েছিল মায়ের আশ্রয় আর প্রশ্রয়ে।
বাবার মৃত্যুর পর আমি ছিলাম আমার মায়ের হাতের লাঠি। রাত জেগে পুরানো দিনের ছায়াছবি কিংবা নাটক সাথে  গল্পকথা। এমনি ভাবে কাটিয়েছে অনেক বিনিদ্র রজনী। মায়ের সাথে গল্পের বেশীটাই থাকত তার ভাই বোন, ভাগনা ভাগনী আর শশুড় পক্ষের মধুর আলাপনে। সবই ছিল পজিটিভ আলোচনা। কখনো আমি আমার মায়ের মুখে কারো বদনাম করতে দেখিনি। আমার মায়ের তাঁর ভাই বোনের প্রতি ছিল অগাধ শ্রদ্ধা আর ভালবাসা। বিষয়টি মাঝে মাঝে মধ্যে ইর্ষার কারন হত।

এমনি এক সন্ধিক্ষনে ২০০০ সালে আমার যুক্তরাষ্ট্রে আসা। একই দিনে আমাদের ভিসা হল। মায়ের টা আগে। আমারটা কিছুটা পড়ে। মনে পড়ে সেই দিনের উৎকন্ঠার কথা। আল্লাহ কাছে বার বার বির বির করে বলছিল আমার ভিসা চাইনা, আমার ছেলের ভিসাটা হউক। আমরা একই সাথে নিউইয়র্কের জে এফ কেনেডি এয়ার পোর্টে এয়ার পোর্টে অবতরণ করলাম। এরপর আমি চলে এলাম ওয়াশিংটনে। মা তিন মাস থেকে ফিরে গেল দেশে। সেই থেকে মায়ের সাথে বিচ্ছিন্নতা।
আশা ছিল কিছুটা সেটেল হয়ে মাকে নিয়ে আসবো আমার কাছে। মা আমার সাথে থাকবে জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত।
কিন্তু মানুষের সব আশা পূরণ হয়না। আমারো হয়নি। হঠাৎ করেই খবর এলো আমার মা অসুস্থ। কিছুদিন আগে বাথ রুমে পড়ে গিয়েছিল, স্মৃতি শক্তি, বোধ শক্তি  কিছুটা লোপ পাচ্ছে। কিন্তু রোগ টা ধরা যাচ্ছে না।
 তড়িঘড়ি করে মাকে  আমার বোনেরা নিউইয়র্কে নিয়ে এল।
নিউইয়র্কের যে এফ কেনেডী এয়ার পোর্টে আমার মায়ের সাথে দেখা। হুইল চেয়ারে করে মা আসছে। এই তো সেদিনের কথা মা আর ছেলে হাসতে হাসতে এই এয়ার পোর্ট দিয়ে আমরা বেড়িয়ে এসেছিলাম। আজ অন্যরকম বেদনাময় এক দৃশ্য। মা যখন এয়ার পোর্ট থেকে বেড়িয়ে এল, এ যেন এক অন্য মা। সেই নিরব হাসিতে বরন করে নেওয়ার সেই হাসি মাখা মুখটি নেই। কেমন যেন নির্লুপ্ত।
 কথা বলছে দুই একটি মেপে মেপে।    পোষ্টই    বুঝতে পারলাম  মায়ের অবস্থা ভাল নেই। আমাদের  রাত দিন উৎকন্ঠায় কাটে।  তবে কখনই মনে হয়নি মা আমাদের ছেড়ে একেবারে চলে যাবে।
মায়ের সাথে দুইদিন থেকে আমি ওয়াশিংটনে ফিরে আসি। এই দুই দিন আমি আমার মায়ের সাথেই শুয়েছি। মা কিছু চুপ চাপ। হঠাৎ হঠাৎ  কথা বলছেন। সেই দেশের কথা। তার ভাই বোন, প্রিয় ভাগনা ভাগনী আর আত্নীয় স্বজনের কথা।
আমার মা কখনই নিজের চাওয়া পাওয়া কিংবা পছন্দের কথা কথা বলতেন না। তাই আমাদের অজানাই থেকে যেত মায়ের আশা কিংবা প্রত্যাশার কথা। এমন নির্মোহ, নির্লোভ ব্যক্তি বড়ই বিরল।
ইত্যাবসরে আমার মায়ের চিকিৎসা শুরু হল।  ধরা পড়ল  ব্রেনের সন্নিকটে একস্টিক নিউরোমাতে মায়ের টিউমার হয়েছে। ডাক্তার বলল তেমন বড় কিছু নয়, অপরেশনের পর ভাল হয়ে যাবে। মায়ের যেদিন অপরেশন হবে সেই দিন রাতে
কাজের পরে আমি বাসে করে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। যখন আমি জেকসন হাইটেসের আমার বোনের বাসায় পৌছালাম তখন রাত পেরিয়ে ভোরের আভা আকাশে ছড়িয়েছে তার নির্মলতা। মা তখন ফজরের নামাজের জায়নামাজে। সালাম ফিরিয়ে আমাকে দেখে বলল ' এত কষ্ট করে এলি কেন বাবা, আমার
অনেক চিন্তা হচ্ছিল। আমি কোন কথা না বলে মাকে জড়িয়ে কিছুক্ষন বসে ছিলাম। খুব সকালে মাকে এলমার্ষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল। হুইল চেয়ারে করে মাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অপরেশন থিয়েটারে। আমরা ভাই বোনেরা
আমাদের প্রিয় মায়ের সাথে সাথে এগিয়ে যাচ্ছি। এক ধরনের উৎকন্ঠা থেকে আমাদের মাঝে নিস্তবতা নেমে এল। একে বারে অপরেশন থিয়েটারের দরজার ধারে আমি মাকে জড়িয়ে আদর করে সেই। মা হঠাৎ করেই পূর্ণ অস্তিত্ব নিয়ে আমার দিকে এক পলকে তাকিয়ে রইলেন কিছুক্ষন। তারপর মাকে নিয়ে অপরেশন থিয়েটারের দরজাটি বন্ধ হয়ে গেল। সময় পেরিয়ে যাচ্ছে, মাকে তো অপরেশন থিয়েটার থেকে বের করা হচ্ছে। দেখতে দেখতে প্রায় সাত ঘন্টা পর হয়ে গেল।
অপরেশন রুম থেকে মাকে যখন বের করা হল  তখন মা অচেতন। ডাক্তার বলল জ্ঞান আসতে আরো কিছুটা সময় নেবে। পরের দিন সকালে হাসপাতালে মায়ের শয্যা পাশে বসে আছি। মা  কখনো চোখ খুলছে, কখনো চোখ বন্ধ করছে।
দুপুরের দিকে মার হঠাৎ করেই যেন জ্ঞান ফিতে এলো। আধো আধো উচ্চারনে বলতে চাইলো মুখের মাক্সটি তাকে অসুবিধা করছে। আমি বললাম কিছুক্ষন পরে এটা খুলে দিবে। ডাক্তারদের কথার সূত্র ধরে মায়ের মুখের কাছে নুয়ে পড়ে
বললাম কালকে রিলিজ দিয়ে দিবে, মা তুমি এক দম ভাল হয়ে যাবে। ডাক্তারদের প্রতি কি অধেল বিশ্বাস। মায়ের সাথে কথা বলে মনে হল কিছুটা স্বস্থি পেলাম। তখন মায়ের সজ্জা পাশে ছিল আমার বোন নাসরীন। নাসরীনকে বলে
 আমি ম্যানহাটনে গেলাম পরের দিনে ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে  বাসের টিকেট কাটার জন্য। মায়ের এই অসুস্থতা কিংবা  অপরেশন উত্তর কোন পরিস্থিতিতেই কখোনই কোন অশুভ ক্ষনের কথা মনে হয়নি। নতুন দেশ, নতুন চাকুরী, কাজ চলে যাবে, এই ভয়ে এই টিকেট কাটা।
দুপুরে হাসপাতালে ফিরে দেখি আমার বোনের সমস্ত অবয়ে কেমন এক  অস্থিরতা। আমাকে দেখেই  দারুন চাপা স্বভাবের আমার এই বোনটি কান্নায় ভেংগে পড়ল। সময়টি ছিল আমেরিকার লেবার ডে উইকেন্ড। সিনিয়র ডাক্তারা হাসপাতালে নেই। মাকে নিয়ে হাসপাতালের  ব্যস্ততা বেড়ে গেল। দ্রুত ক্যাট স্ক্যান করা হল। জানালো হলো মায়ের মাথাতে স্যোয়েলিং এর কারনে ফ্লুয়েড জমেছে। জটিল কিছু  নয়, এই ধরনের অপরেশনে এটা হতেই পারে। বলা হল মাথায় ছোট্ট একটি ছিদ্র করে ফ্লুয়েড বের করে আনলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
শেষ বিকেলে চলছে ফ্লুয়েড বের করে আনার জন্য প্রসিডিওর। বাহিরে উৎকন্ঠার মধ্যে আমাদের প্রতিক্ষা। ডাক্তাররা কিছু বলল না। মাকে কেন যেন মনে হল গভীর ঘুমে অচেতন। রাতে সিনিয়র ডাক্তাররা এল কিছু এলো আবারো কিছু একটা প্রসিডিওর করল। ডাক্তাররা কিছু বলল না। মনে হচ্ছিল কিছু একটা জটলতা।
পরের দিন বিকেলে আমাদের সবাইকে ডেকে ডাক্তার বললেন " আনফরচুনেটলী আমরা মাথার একটা রগকে নক করেছি, বলে মাথায় ইন্টারনাল ব্লিডিং হচ্ছে, আগামীকাল যে ডাক্তার অপরেশন করেছিল তিনি এসে সিদ্ধান্ত নিবেন পরবর্তি করনীয় প্রশ্নে।
তখনো আমি আশা ছাড়িনি। আমার বিশ্বাস ছিল এই জটিল সময় কেটে যাবে। আমরা মাকে সুস্থ করে বাড়ী নিয়ে যাব।
পরের দিন ডাক্তার বলল তিনি আরেকটি অপরেশনের ঝুকি নিতে চাচ্ছেন না। তিনি বললেন রোগী স্থিতিশীল। স্থিতিশীল শব্দটির সংগে এর আগে পরিচিতি ছিলাম। তাই আবারো আশায় বুক বেধে রইলাম। কিন্তু পরের দিন সকালে
সোশ্যাল সার্ভিস ডিপার্টমেন্টের এক কর্মী আমার কাছে এসে বলল "সরি"। আমি আকাশ থেকে পড়লাম, কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলাম। জিজ্ঞেস করলাম, সরি মানে? তিনি বললেন আমার মা ডিপ কমাতে। সেখান থেকে ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই। এরপর তিনি বললেন অনার হার্ট, কিডনী খুব ভাল অবস্থায় আছে, যদি আমরা ডোনেট করি। এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মত মানসিক  অবস্থা আমার ছিল না। আমার পৃথিবী থেকে তখন মাটি সরে যাচ্ছে। আমি যেন আমার অস্বিত্ব হারিয়ে ফেলছি।
অবশেষে আমার মা চলে গেল না ফিরার দেশে। ৮ই সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ডাক্তার এসে ডাক্তার মার লাইফ সাপোর্ট খুলে নিল। আমার বোনেরা আমরা সবাই কোরআন তালওয়াত করছিলাম।  তখন মনে পড়ছিল দেশে আমাদের বোন জেসিমন আর ছোট ভাই উজ্জ্বলের কথা, আত্নীয় স্বজনের কথা, যারা আমার মাকে দারুন পছন্দ করতো।
বাবাকে হারিয়ে মায়ের আদরে শাসনে আমরা বেচে ছিলাম। মাকে হারিয়ে আমরা পরোপুরি এতিম হয়ে গেলাম। আমাদের পৃথিবী শূত্যতায় ভরে গেল। আজো এক রাশ শুন্যতার মাঝে  আমি বেচে আছি। যখনই মায়ের কথা মনে হয় হাজারো স্মৃতি মনের কোনে এসে জড়ো হয়।  কখনো কখনো অপরাধ বোধে মনটা ক্লান্ত হয়। আমার কেবলেই মনে হয় মায়ের শেষ সময়টা আমি কেমন যেন দূরে সরে ছিলাম । নিজের সংসার, চাকুরী এই বিষয়গুলিই মনে প্রাধান্য পেয়েছিল বেশী। না হলে আমি কেন অপরেশনের দিনের শেষ লগ্নে আমি মায়ের কাছে গেলাম।
আমার তো উচিত ছিল আরো কিছুদিন আগে মাকে সংগ দেওয়া। শেষদিন গুলিতে মায়ের পাশে থাকা।
মায়ের  মৃত্যুর পর প্রায় একটা স্বপন দেখি। এটা কি স্বপ্ন না কল্পনা সেটা বুঝি না। গভীর রাত।   আকাশে তখন  সপ্তর্ষি , ছায়াপথ নয়। সেই নক্ষত্র মন্ডলের মাখে  মা বসে আসেন আমার পাশে। আমার  পিঠে হাত বোলান।
 কথা বলেন না। এভাবেই নীরবে মাতা-পুত্রের  কিছুটা সময় পার হয়ে যায়।  নক্ষত্রপুঞ্জের বিলাভবিপুল আলোর মাঝে   অনির্দিষ্ট একটা পথের ধারে ,
ঝির ঝির মৃদু বাতাস বয়ে যায় ,  হাওয়ায় হাওয়ায়  নক্ষত্রের  আলোক সম্পাত   আকাশে ছড়িয়ে পরে । সপ্তর্ষি তখন শান্ত।  সমস্ত বিষয়টিই একটা প্রশ্নচিহ্নের মতো নিস্তব্ধ।
ব্যক্ত ও অব্যক্ত জগতের সীমায় বসে  আছি আমরা দুজনে।  আর এমনি দোলাচলে যখন ফিরে আসে চেতনা তখন  মায়ের জন্য আকুতি ঝরে পড়ে আমার কণ্ঠ থেকে- মা আমার মা; আমার ভালোবাসার মা। তুমি ভাল থেকো। আমরা তোমার সন্তানরা তোমার স্মৃতি বুকে নিয়ে বেচে আছি, তোমারই স্বপ্ন ঘিরে।

No comments:

Post a Comment