একজন জান্নাতি মানুষের গল্পঃ
একজন জান্নাতি মানুষের গল্পঃ
- সংগৃহিত
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মুহাম্মাদ (সঃ) ,সাহাবাদের নিয়ে একত্রে বসে ছিলেন। ঠিক সেই সময় , একজন বেক্তি এসে উপস্থিত হলেন। যাকে দেখে মুহাম্মাদ (সঃ) বললেন, তোমারা যদি জান্নাতের একজন মানুষ দেখতে চাও তবে এই বেক্তি কে দেখে নাও।
ঠিক পরের ও দিন ও মুহাম্মাদ (সঃ) ঐ একই বেক্তি কে দেখে অনুরুপ কথা বললেন । অতঃপর তৃতীয় দিন ও একই কথা বললেন । সাহাবাদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আল আস (রাঃ) .আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আল আস (রাঃ) ছিলেন ঐ সাহাবী যার অধিক ইবাদতের কারনে মুহাম্মাদ (সঃ) তাকে এরূপ করতে নিষেধ করেছিলেন।
সহিহ বুখারী :: খন্ড ৩ :: অধ্যায় ৩১ :: হাদিস ১৯৬
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মুহাম্মদ ইবন মুকাতিল (র) ... ‘আবদুল্লাহ ইবন ‘আমর ইবনুল ‘ আস (রা) থেকে বর্ণিত ,তিনি বলেন , রাসূলুল্লাহ (সা) আমাকে বললেন : হে আবদুল্লাহ ! আমি এ সংবাদ পেয়েছি যে, তুমি প্রতিদিন সাওম পালন কর এবং সারারাত সালঅত আদায় করে থাক । আমি বললাম , ঠিক (শুনেছেন) ইয়া রাসূলুল্লাহ ! তিনি বললেন : এরূপ করবে না (বরং মাঝে মাঝে )সাওম পালন কর আবার সাওম ছেড়েও দাও । (রাতে ) সালাত আদায় কর আবার ঘুমাও ।কেননা তোমার উপর তোমার শরীরের হক আছে , তোমার চোখের হক রয়েছে , তোমার উপর তোমার স্ত্রীর হক আছে , তোমার তমহমানের হক আছে । তোমার জন্য যথেষ্ট যে , তুমি প্রত্যেক মাসে তিন দিন সাওম পালন করবে ।কেননা নেক আমলের পরিবর্তে তোমার জন্য রয়েছে দশগুণ নেকী । এভাবে সারা বছরের সাওম হয়ে যায় ।আমি বললাম আমি এর চেয়েও কঠোর আমল করতে সক্ষম। তখন আমাকে আরও কঠিন আমলের অনুমতি দেয়া হল ।আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ !আমি আরো বেশী শক্তি রাখি । তিনি বললেন:তবে আল্লাহর নবী দাঊদ (আ) -এর সাওম পালন কর , এর থেকে বেশী করতে যেয়ো না । আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আল্লাহর,আল্লাহর নবী দাঊদ (আ) -এর সাওম কেমন? তিনি বললেন : অর্ধেক বছর। রাবী বলেন , ‘আব্দুল্লাহ (রা) বৃদ্ধ বয়সে বলতেন ,আহা ! আমি যদি নবী করীম (সা) প্রদত্ত রুখসত (সহজতর বিধান) কবূল করে নিতাম !
তাই, মুহাম্মাদ (সঃ) এর মুখে , ঐ সম্মানিত বেক্তির ভূয়সী প্রশংসা শুনে আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আল আস (রাঃ) খুবই হিংসা পরায়ণ হয়ে উঠেন এবং মনে মনে সংকল্প নেন যে , যে করেই হোক আমাকে খুজে বের করতে হবে এই সম্মানিত বেক্তি কি এমন আমল করে ।
সুবাহাল্লাহ, এভাবেই একজন সাহাবা অপর জনের সাথে প্রতিযোগিতা করতেন। তাদের প্রতিযোগিতার মূল কেন্দ্র বিন্ ছিল আল-জান্নাহ-আল ফিরদাউস। তাদের প্রতিযোগিতা এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়া কেন্দ্রিক ছিল না । তাদের সব কিছুই ছিল জান্নাহ কেন্দ্রিক।
তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা এবং জান্নাতের দিকে ছুটে যাও যার সীমানা হচ্ছে আসমান ও যমীন, যা তৈরী করা হয়েছে পরহেযগারদের জন্য।
(শুরা আল-ইম্রানঃ ১৩৩)
এবার, ঘটনায় ফিরে আসি।
আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আল আস (রাঃ) সিধান্ত নিলেন , এবার তিনি দেখবেন ঐ লোক এমন কি আমল করেন যার জন্য মুহাম্মাদ (সঃ) তার এত প্রশংসা করলেন।
তিনি, পরিকল্পনা করেন যে আবেদ লোকটির বাসায় রাতে থাকার জন্য অনুমতি চাইলেন এবং ওজর হিসেবে পেশ করলেন যে তার বাবা তাকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন তাই , তাকে যেন একাটি রাত থাকার অনুমতি দেন।
সেই আবেদ লোকটি তার কথা শুনে আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আল আস (রাঃ) কে তার সাথে রাতে থাকার অনুমতি দিলেন।
ঈশার সালাতের পর,
তারা দুজনেই বাড়িতে ফিরে এলেন। রাত যত বাড়তে থাকে আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আল আস (রাঃ) সেই আবেদ লোকটি দিকে লক্ষ্য রাখতে শুরু করলেন। রাত যতই গভীর হচ্ছিল আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আল আস (রাঃ) ততই ব্যাকুল হয়ে উঠলেন লোকটি এমন কি ইবাদাত করে তা দেখার জন্য।
কিন্তু না। এ কি ? আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আল আস (রাঃ) দেখলেন রাত গভীর হওয়ার সাথে
লোকটি ঘুমিয়ে পড়লেন। আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আল আস (রাঃ) ভেবেসিলেন ‘ওহ এই আল্লাহর আবেদ হয়ত সারা রাত তাহাজ্জুদের নামাজ পড়বেন। একটু ও ঘুমাবেন না । কিন্তু তিনি এ কি দেখছেন ‘ এই আবেদ তো সারা রাত দুরের কথা রাতে ঘুম থেকেই উঠলেন না । তবে ফজরের আগে কয়েক রাকাত নামাজ পড়লেন।
আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আল আস (রাঃ) ভাবেসিলেন এই আল্লাহর আবেদ হয়ত সারা দিন রোজা রাখেন। সব সময় রোজা অবস্থায় থাকেন। কিন্তু না , আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আল আস (রাঃ) এ কি দেখছেন , এই আবেদ তো সেহরি ও করলেন না আবার সকাল বেলা খাবার ও গ্রহন করলেন?
আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আল আস (রাঃ) এবার সেই আবেদ লোকটি কে বললেন
‘ হে আমার ভাই আপনি শুনুন। কাল আজ থেকে তিন দিন আগে আপনাকে দেখে রাসুলুল্লাহ (সঃ) জান্নাতের একজন অধিবাসী বলেছিলেন যা তিনি অনুরূপ তিন বার বলেছেন। তাই , আমার খুবই জানতে ইচ্ছা হয়েছিল যে আপনি গোপনে এমন কি আমল করেন যার জন্য আপনাকে রাসুলুল্লাহ (সঃ) জান্নাতের একজন অধিবাসী বলেছিলেন । যাতে করে আমি সেই আমাল শিখে নিয়ে আপনার মত হতে পারি। কিত্নু আমি একি দেখছি। আমি ভাবেছিলাম আপনি রাত ভর আল্লাহর ইবাদাত করেন , আমি ভেবেছিলাম আপনি সারা দিন রোজ রাখেন । কিন্তু আপনি এসব কিছুই করেন না ।
তাই আমার আর আপনার সাথে থাকার দরকার নেই । আমি চলে যাচ্ছি ।
আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আল আস (রাঃ) চলে যাওয়ার মুহূর্তে সেই আবেদ লোকটি তাকে ডেকে বললেন ‘হে আমর, আমার ভাই, তুমি কি জানতে চাও কি সেই আমার আমল যা আমি করি ? আর যার জন্য রাসুলুল্লাহ (সঃ) আমাকে একজন জান্নাতের অধিবাসী বলেছেন ?
সেই আবেদ লোকটি বললেন “ আমি যখন ঘুমাতে যাই তখন আমি এমন একটি হৃদয় নিয়ে ঘুমাতে যাই যে হৃদয় কোন মুসলিমের জন্য এক বিন্দু ও খারাপ ধারণা পোষণ করে না । যে হৃদয় কোন মুসলিমদের জন্য এক বিন্দু ও হিংসা- বিদ্বেষ , অহংকার ধারণ করে না । যে হৃদয় কোন মুসলিমের জন্য এক তিল পরিমাণ ও শত্রুতা পোষণ করে রাখে না । যে হৃদয় , পরিপূর্ণ হয়ে ঘুমাতে যায় মুসলিমদের জন্য ভালবাসায়। এই হচ্ছে আমার সেই গোপন ইবাদাত।“
সহিহ বুখারী :: খন্ড ৮ :: অধ্যায় ৮০ :: হাদিস ৭১৭
মূসা ইব্ন ইসমাঈল (র).... আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ তোমরা ধারণা করা পরিহার কর, কেননা, ধারণা করা হচ্ছে সর্বাধিক মিথ্যা। কারও দোষ তালাশ করো না, দোষ বের করার জন্য গুপ্তচরবৃত্তি করো না, একে অপরের প্রতি হিংসা পোষণ করো না, পরস্পরে সম্পর্কচ্ছেদ করো না। আল্লাহর বান্দা পরস্পরে ভাই ভাই হয়ে যাও।
- সংগৃহিত
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মুহাম্মাদ (সঃ) ,সাহাবাদের নিয়ে একত্রে বসে ছিলেন। ঠিক সেই সময় , একজন বেক্তি এসে উপস্থিত হলেন। যাকে দেখে মুহাম্মাদ (সঃ) বললেন, তোমারা যদি জান্নাতের একজন মানুষ দেখতে চাও তবে এই বেক্তি কে দেখে নাও।
ঠিক পরের ও দিন ও মুহাম্মাদ (সঃ) ঐ একই বেক্তি কে দেখে অনুরুপ কথা বললেন । অতঃপর তৃতীয় দিন ও একই কথা বললেন । সাহাবাদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আল আস (রাঃ) .আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আল আস (রাঃ) ছিলেন ঐ সাহাবী যার অধিক ইবাদতের কারনে মুহাম্মাদ (সঃ) তাকে এরূপ করতে নিষেধ করেছিলেন।
সহিহ বুখারী :: খন্ড ৩ :: অধ্যায় ৩১ :: হাদিস ১৯৬
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মুহাম্মদ ইবন মুকাতিল (র) ... ‘আবদুল্লাহ ইবন ‘আমর ইবনুল ‘ আস (রা) থেকে বর্ণিত ,তিনি বলেন , রাসূলুল্লাহ (সা) আমাকে বললেন : হে আবদুল্লাহ ! আমি এ সংবাদ পেয়েছি যে, তুমি প্রতিদিন সাওম পালন কর এবং সারারাত সালঅত আদায় করে থাক । আমি বললাম , ঠিক (শুনেছেন) ইয়া রাসূলুল্লাহ ! তিনি বললেন : এরূপ করবে না (বরং মাঝে মাঝে )সাওম পালন কর আবার সাওম ছেড়েও দাও । (রাতে ) সালাত আদায় কর আবার ঘুমাও ।কেননা তোমার উপর তোমার শরীরের হক আছে , তোমার চোখের হক রয়েছে , তোমার উপর তোমার স্ত্রীর হক আছে , তোমার তমহমানের হক আছে । তোমার জন্য যথেষ্ট যে , তুমি প্রত্যেক মাসে তিন দিন সাওম পালন করবে ।কেননা নেক আমলের পরিবর্তে তোমার জন্য রয়েছে দশগুণ নেকী । এভাবে সারা বছরের সাওম হয়ে যায় ।আমি বললাম আমি এর চেয়েও কঠোর আমল করতে সক্ষম। তখন আমাকে আরও কঠিন আমলের অনুমতি দেয়া হল ।আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ !আমি আরো বেশী শক্তি রাখি । তিনি বললেন:তবে আল্লাহর নবী দাঊদ (আ) -এর সাওম পালন কর , এর থেকে বেশী করতে যেয়ো না । আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আল্লাহর,আল্লাহর নবী দাঊদ (আ) -এর সাওম কেমন? তিনি বললেন : অর্ধেক বছর। রাবী বলেন , ‘আব্দুল্লাহ (রা) বৃদ্ধ বয়সে বলতেন ,আহা ! আমি যদি নবী করীম (সা) প্রদত্ত রুখসত (সহজতর বিধান) কবূল করে নিতাম !
তাই, মুহাম্মাদ (সঃ) এর মুখে , ঐ সম্মানিত বেক্তির ভূয়সী প্রশংসা শুনে আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আল আস (রাঃ) খুবই হিংসা পরায়ণ হয়ে উঠেন এবং মনে মনে সংকল্প নেন যে , যে করেই হোক আমাকে খুজে বের করতে হবে এই সম্মানিত বেক্তি কি এমন আমল করে ।
সুবাহাল্লাহ, এভাবেই একজন সাহাবা অপর জনের সাথে প্রতিযোগিতা করতেন। তাদের প্রতিযোগিতার মূল কেন্দ্র বিন্ ছিল আল-জান্নাহ-আল ফিরদাউস। তাদের প্রতিযোগিতা এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়া কেন্দ্রিক ছিল না । তাদের সব কিছুই ছিল জান্নাহ কেন্দ্রিক।
তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা এবং জান্নাতের দিকে ছুটে যাও যার সীমানা হচ্ছে আসমান ও যমীন, যা তৈরী করা হয়েছে পরহেযগারদের জন্য।
(শুরা আল-ইম্রানঃ ১৩৩)
এবার, ঘটনায় ফিরে আসি।
আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আল আস (রাঃ) সিধান্ত নিলেন , এবার তিনি দেখবেন ঐ লোক এমন কি আমল করেন যার জন্য মুহাম্মাদ (সঃ) তার এত প্রশংসা করলেন।
তিনি, পরিকল্পনা করেন যে আবেদ লোকটির বাসায় রাতে থাকার জন্য অনুমতি চাইলেন এবং ওজর হিসেবে পেশ করলেন যে তার বাবা তাকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন তাই , তাকে যেন একাটি রাত থাকার অনুমতি দেন।
সেই আবেদ লোকটি তার কথা শুনে আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আল আস (রাঃ) কে তার সাথে রাতে থাকার অনুমতি দিলেন।
ঈশার সালাতের পর,
তারা দুজনেই বাড়িতে ফিরে এলেন। রাত যত বাড়তে থাকে আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আল আস (রাঃ) সেই আবেদ লোকটি দিকে লক্ষ্য রাখতে শুরু করলেন। রাত যতই গভীর হচ্ছিল আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আল আস (রাঃ) ততই ব্যাকুল হয়ে উঠলেন লোকটি এমন কি ইবাদাত করে তা দেখার জন্য।
কিন্তু না। এ কি ? আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আল আস (রাঃ) দেখলেন রাত গভীর হওয়ার সাথে
লোকটি ঘুমিয়ে পড়লেন। আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আল আস (রাঃ) ভেবেসিলেন ‘ওহ এই আল্লাহর আবেদ হয়ত সারা রাত তাহাজ্জুদের নামাজ পড়বেন। একটু ও ঘুমাবেন না । কিন্তু তিনি এ কি দেখছেন ‘ এই আবেদ তো সারা রাত দুরের কথা রাতে ঘুম থেকেই উঠলেন না । তবে ফজরের আগে কয়েক রাকাত নামাজ পড়লেন।
আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আল আস (রাঃ) ভাবেসিলেন এই আল্লাহর আবেদ হয়ত সারা দিন রোজা রাখেন। সব সময় রোজা অবস্থায় থাকেন। কিন্তু না , আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আল আস (রাঃ) এ কি দেখছেন , এই আবেদ তো সেহরি ও করলেন না আবার সকাল বেলা খাবার ও গ্রহন করলেন?
আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আল আস (রাঃ) এবার সেই আবেদ লোকটি কে বললেন
‘ হে আমার ভাই আপনি শুনুন। কাল আজ থেকে তিন দিন আগে আপনাকে দেখে রাসুলুল্লাহ (সঃ) জান্নাতের একজন অধিবাসী বলেছিলেন যা তিনি অনুরূপ তিন বার বলেছেন। তাই , আমার খুবই জানতে ইচ্ছা হয়েছিল যে আপনি গোপনে এমন কি আমল করেন যার জন্য আপনাকে রাসুলুল্লাহ (সঃ) জান্নাতের একজন অধিবাসী বলেছিলেন । যাতে করে আমি সেই আমাল শিখে নিয়ে আপনার মত হতে পারি। কিত্নু আমি একি দেখছি। আমি ভাবেছিলাম আপনি রাত ভর আল্লাহর ইবাদাত করেন , আমি ভেবেছিলাম আপনি সারা দিন রোজ রাখেন । কিন্তু আপনি এসব কিছুই করেন না ।
তাই আমার আর আপনার সাথে থাকার দরকার নেই । আমি চলে যাচ্ছি ।
আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আল আস (রাঃ) চলে যাওয়ার মুহূর্তে সেই আবেদ লোকটি তাকে ডেকে বললেন ‘হে আমর, আমার ভাই, তুমি কি জানতে চাও কি সেই আমার আমল যা আমি করি ? আর যার জন্য রাসুলুল্লাহ (সঃ) আমাকে একজন জান্নাতের অধিবাসী বলেছেন ?
সেই আবেদ লোকটি বললেন “ আমি যখন ঘুমাতে যাই তখন আমি এমন একটি হৃদয় নিয়ে ঘুমাতে যাই যে হৃদয় কোন মুসলিমের জন্য এক বিন্দু ও খারাপ ধারণা পোষণ করে না । যে হৃদয় কোন মুসলিমদের জন্য এক বিন্দু ও হিংসা- বিদ্বেষ , অহংকার ধারণ করে না । যে হৃদয় কোন মুসলিমের জন্য এক তিল পরিমাণ ও শত্রুতা পোষণ করে রাখে না । যে হৃদয় , পরিপূর্ণ হয়ে ঘুমাতে যায় মুসলিমদের জন্য ভালবাসায়। এই হচ্ছে আমার সেই গোপন ইবাদাত।“
সহিহ বুখারী :: খন্ড ৮ :: অধ্যায় ৮০ :: হাদিস ৭১৭
মূসা ইব্ন ইসমাঈল (র).... আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ তোমরা ধারণা করা পরিহার কর, কেননা, ধারণা করা হচ্ছে সর্বাধিক মিথ্যা। কারও দোষ তালাশ করো না, দোষ বের করার জন্য গুপ্তচরবৃত্তি করো না, একে অপরের প্রতি হিংসা পোষণ করো না, পরস্পরে সম্পর্কচ্ছেদ করো না। আল্লাহর বান্দা পরস্পরে ভাই ভাই হয়ে যাও।
No comments:
Post a Comment