Friday, May 30, 2014

ক্বিয়ামতের দিন যে পাঁচটি বিষয়ে জবাবদিহি করতে হবে

ক্বিয়ামতের দিন যে পাঁচটি বিষয়ে জবাবদিহি করতে হবে




মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যে ব্যক্তি আমলে ছলেহ বা নেক কাজ করলো; সে তার নিজের জন্যই করলো। আর যে পাপ কাজ করবে; তাও তার উপরই বর্তাবে।’ 
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আদম সন্তান হাশরের ময়দানে তার ক্বদম নড়াতে পারবে না; পাঁচটি প্রশ্নের জবাব না দেয়া পর্যন্ত।
প্রথম প্রশ্ন করা হবে- তার হায়াত বা বয়স সম্পর্কে; সে হায়াত বা বয়স কিভাবে কাটিয়েছে। দ্বিতীয় প্রশ্ন করা হবে- তার যৌবনকাল সম্পর্কে; তা সে কিভাবে ব্যয় করেছে। তৃতীয় প্রশ্ন করা হবে- সম্পদ কিভাবে উপার্জন করেছে। চতুর্থ প্রশ্ন করা হবে- সম্পদ কোন্ রাস্তায় ব্যয় করেছে। পঞ্চম প্রশ্ন করা হবে- ইলম অনুযায়ী কি আমল করেছে।’
তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, উল্লিখিত বিষয়ে সাবধান ও সতর্ক হওয়া এবং সর্বদা নেক কাজে মশগুল থাকা ও সর্বপ্রকার পাপ বা গুনাহের কাজ থেকে বিরত থাকার কোশেশ করা।
‘যে ব্যক্তি আমলে ছলেহ বা নেক কাজ করলো সে তার নিজের জন্যই করলো। আর যে পাপ কাজ করবে তাও তার উপরই বর্তাবে।’ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আদম সন্তান হাশরের ময়দানে তার ক্বদম নড়াতে পারবে না পাঁচটি প্রশ্নের জবাব না দেয়া পর্যন্ত। প্রথম প্রশ্ন করা হবে তার হায়াত বা বয়স সম্পর্কে; সে হায়াত বা বয়স কিভাবে কাটিয়েছে। দ্বিতীয় প্রশ্ন করা হবে তার যৌবনকাল সম্পর্কে; তা সে কিভাবে ব্যয় করেছে। তৃতীয় প্রশ্ন করা হবে সম্পদ কিভাবে উপার্জন করেছে। চতুর্থ প্রশ্ন করা হবে, সম্পদ কোন্ রাস্তায় ব্যয় করেছে। পঞ্চম প্রশ্ন করা হবে, ইলম অনুযায়ী কি আমল করেছে।’ তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, উল্লিখিত বিষয়ে সাবধান ও সতর্ক হওয়া এবং সর্বদা নেক কাজে মশগুল থাকা ও সর্বপ্রকার পাপ বা গুনাহের কাজ থেকে বিরত থাকা।
যেহেতু প্রত্যেককেই তার আমলের বদলা গ্রহণ করতে হবে এবং প্রতিটি বিষয়েই মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নিকট জবাবদিহি করতে হবে। তাই প্রত্যেকেরই উচিত দায়িমীভাবে নেককাজে মশগুল থাকা এবং পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা। বিশেষ করে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত পাঁচটি বিষয়ে বিশেষভাবে সতর্ক থাকা।
প্রথমত: প্রত্যেককেই তার সম্পূর্ণ হায়াত বা বয়স নেক কাজে কাটাতে হবে। পাশাপাশি পাপ কাজ থেকে বেঁচে থাকতে হবে। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যে ব্যক্তি এক জাররা পরিমাণ নেক কাজ করবে তার বিনিময় (ছওয়াব) সে পাবে। আর যে ব্যক্তি এক জাররা পরিমাণ পাপ বা গুনাহ করবে তার বদলা (শাস্তি) সে ভোগ করবে।’
দ্বিতীয়ত: যৌবন কাল; মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আদেশ-নির্দেশ মুবারক মোতাবিক অর্থাৎ নেক কাজে ব্যয় করতে হবে। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘যৌবনকালের ইবাদত মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট সবচেয়ে বেশি পছন্দনীয়।’ সুবহানাল্লাহ! পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘ক্বিয়ামতের দিন যে সাত ব্যক্তি আরশের ছায়ায় স্থান পাবেন তাদের মধ্যে একজন হলেন- যে যৌবনকাল ইবাদতে কাটিয়েছেন।’ সুবহানাল্লাহ!
তৃতীয়ত: ও চতুর্থত: হালাল কামাই করতে হবে। হারাম কামাই থেকে বেঁচে থাকতে হবে। আর মহান আল্লাহ পাক উনার দেয়া সম্পদ টাকা-পয়সা উনার রাস্তায় অর্থাৎ নেক কাজে ব্যয় করতে হবে। কেননা, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘অন্যান্য ফরযের পর হালাল কামাই করা অন্যতম ফরয।’ আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘হে আদম সন্তান! তুমি তোমার সম্পদ মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় ব্যয় কর, তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনিও তোমাকে সম্পদ দান করবেন।’ সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ দানে সম্পদ বাড়ে, কমে না। তাছাড়া সখী বা দানশীল মহান আল্লাহ পাক উনার বন্ধু। যেমন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “সখী বা দানশীল ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব বা বন্ধু; যদিও সে ফাসিক হোক না কেন।” সুবহানাল্লাহ!
আর পঞ্চমত: অর্জিত ইলম অনুযায়ী আমল করতে হবে। কেননা, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘ক্বিয়ামতের দিন ওই ব্যক্তির সব চেয়ে কঠিন শাস্তি হবে যে অর্জিত ইলম অনুযায়ী আমল করে না।’ অর্থাৎ বান্দা-বান্দী ও উম্মত যতটুকু জানবে ততটুকু তাকে আমল করতে হবে।
মূলকথা হলো- প্রত্যেককেই মৃত্যুবরণ করতে হবে এবং মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নিকট প্রতিটি আমল প্রতিটি বিষয়ে খাছ করে উল্লিখিত পাঁচটি বিষয়ে জবাবদিহি করতে হবে। তাই হায়াত থাকতেই হক্কানী-রব্বানী আল্লাহওয়ালা উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ারের মাধ্যমে নিজের আক্বীদা-আমল, আখলাক, সীরত-ছূরত সব শুদ্ধ করে নিতে হবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলকে সেই তাওফীক দান করুন।

No comments:

Post a Comment