দাম্পত্য টিপস
যে ৮ টি বিষয় আপনার দাম্পত্য জীবনকে অশান্তিময়, দুর্বল এবং অকার্যকর করতে থাকে
যে ৮ টি বিষয় আপনার দাম্পত্য জীবনকে অশান্তিময়, দুর্বল এবং অকার্যকর করতে থাকে--
১) খারাপ ব্যবহার করা : তাকে এমন কিছু নিয়ে ঠাট্টা করা যাতে সে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এমন ধমক দেয়া যা অন্যদের সামনে তার অসম্মান হয়ে যায়। তাকে অপমান করা আপনার প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধকে কমিয়ে দিবে।
২) উপেক্ষা করা : তার পছন্দ, ভালোলাগা কিংবা তার কথাবার্তাকে গোণায় না ধরা বা পাত্তা না দেয়া। হয়ত সে সালাম দিয়েছেন আপনাকে, আপনি উত্তর দিলেন না। বেশ কিছুদিন যাবৎ খুব আগ্রহ নিয়ে হয়ত সে কিছু বলছে কিন্তু আপনি বিশেষ কারণ ছাড়াই তার কথার পাত্তা দিচ্ছেন না।
৩) মিথ্যা বলা : কিছুতেই মিথ্যা বলা সঠিক নয়। আল্লাহ মিথ্যাকে নিষিদ্ধ করেছেন। আল্লাহ আমাদেরকে শয়তানের এই ওয়াসওয়াসা থেকে রক্ষা করুন। মিথ্যা আপনাদের পারস্পারিক বিশ্বাসকে ভেঙ্গে চুরমার করে দিবে।
৪) কথা দিয়ে কথা না রাখা : কথা দিয়ে কথা রাখা বা ওয়াদা রক্ষা করা একজন মু'মিনের বৈশিষ্ট্য। বিষয়টি দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষেত্রেও খুব গুরুত্বপূর্ণ।
৫) এড়িয়ে চলা : অনেকদিন পর দেখা হলে বন্ধুদেরকে বা ভাইদের আমরা জড়িয়ে ধরি, কোলাকুলি করি। আপনার স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরতে পারেন না? পারবেন, অস্বস্তি লাগলেও তা ভেঙ্গে ফেলুন। ভালোবাসার প্রকাশ থাকা খুবই প্রয়োজন।
৬) সন্দেহ ও গীবত করা : কখনো সন্দেহ করতে যাবেন না। সন্দেহ সম্পর্ককে ধ্বংস করে। আপনার জীবনসঙ্গী আপনার খুব কাছের মানুষ এটা সত্যি। কিন্তু খুঁতখুঁত করে যদি তার বিষয়ে অনেক ঘাঁটাঘাঁটি করেন, আপনি নিঃসন্দেহে হতাশ হবেন। মানুষ কখনো নিখুঁত নয়। আর মনে রাখবেন, প্রত্যেকে তার নিজ নিজ হিসাব দিবে। তাই সন্দেহ দূর করুন। স্বামী বা স্ত্রী একে অপরের চাদরস্বরূপ, ছোট-খাটো ভুলত্রুটি বা সীমাবদ্ধতা নিয়ে অন্যদের কাছে বলে বেড়াবেন না, গীবত করবেন না।
কুরআনুল কারীমে আল্লাহ বলেছেন :
"হে মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।" -- [আল হুজুরাত, ৪৯ : ১২]
৭) খুব বেশি ব্যস্ততা : অপরজনের জন্য কিছু সময় রাখবেন। পারস্পরিক কথাবার্তা আর সময়গুলো সম্পর্ককে প্রগাঢ় করে। তার প্রতি আপনার কর্তব্য রয়েছে, আপনার কিছু দায়িত্ব রয়েছে। কিছুটা সময় তিনি পাওয়ার অধিকার রাখেন। এই বিষয়টি খেয়াল রাখুন।
৮) নামাজ এবং অন্যান্য ইবাদাত না করা : যে ব্যক্তি আল্লাহর ইবাদাত না করে, নামাজ না পড়ে এবং আল্লাহর নির্দেশিত পথে না চলে, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট নন। নিয়মিত নামাজ না পড়া, অশ্লীল কাজ, হারাম উপার্জনগুলো থেকে সরে না আসার কারণে অনেক সংসার ভেঙ্গে গেছে। আল্লাহর প্রতি কর্তব্য পালনে অলসতা-উপেক্ষা করার কারণে মুসলিম সংসারে অত্যন্ত দ্রুত ভাঙ্গন ধরে যায়।
আল্লাহ আমাদেরকে ভুলত্রুটি ক্ষমা করুন এবং আমাদের সরল সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আমাদের পরিবারগুলোতে রাহমাত এবং বারাকাহ দান করুন।
১০)
কোন কারণে মনোমালিন্য হলেও ঘরের বাইরে কখনো দু'জনে আলাদা হন না, স্ত্রী
বাইরে যাবার প্রয়োজন হলে সবসময় তাকে সঙ্গ দেন। মাঝে-মাঝেই দু'জনে মিলে
ঘুরতে যান যেন স্ত্রী কিছুটা সময় তার সঙ্গ পেয়ে আনন্দিত হয় যা তাদের
সম্পর্ককে প্রগাঢ় করবে।
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে চিড় ধরাতে পারলে শয়তান প্রচন্ড আনন্দিত হয়, সে এমন প্রচেষ্টায় লিপ্ত থাকে যেন ছোট্ট ভুলকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রী রাগারাগি করে পারস্পরিক অশান্তি তৈরি করে এবং ফলশ্রুতিতে যেন বড় বড় অন্যায় এবং পাপের জন্ম হবার সুযোগ তৈরি হয়। আল্লাহর কাছে সবসময় দোয়া করুন যেন আল্লাহ আপনাদের সম্পর্ককে যাবতীয় অকল্যাণের হাত থেকে রক্ষা করেন। রাগ হলে কথা না বলে সংযত হোন। আপনার পছন্দ/অপছন্দ এবং ইগোর চেয়ে আপনাদের সম্পর্কটিকে মূল্য দিন। চিৎকার করবেন না, বাজে শব্দ ব্যবহার করবেন না। মনে রাখবেন, রাগান্বিত হয়ে আপনি যা করবেন সবই অকল্যাণকর হবে। আল্লাহ আমাদের রাগ সংযত করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহ আমাদের পরিবারগুলোকে অন্যায় ও অকল্যাণের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখুন।
যখন আপনার স্বামী/স্ত্রীর সাথে আপনার মতপার্থক্য হবে, বুঝবেন এটাই
স্বাভাবিক। দু'জন মানুষের মাঝে খুব বেশি মিল থাকা সম্ভব হয় না কখনো। একই
প্রাণ, একই আত্মা -- এইসব কেবলই গল্প-উপন্যাস -মুভির বিষয়। বাস্তব জীবনে
আপনাদের অতীত আলাদা, আপনাদের চিন্তার ধরণ আলাদা, আপনাদের শৈশব-কৈশোর আলাদা।
এই ভিন্নতার পরেও দু'জনে দু'জনার খুব কাছের মানুষ কেননা আপনারা দু'জনে
একসাথে হয়েছিলেন দুইজনের সত্ত্বা হারিয়ে এক হয়ে মিশে যেতে নয়, বরং দু'জন
পাশাপাশি একটি অভিন্ন লক্ষ্যে যাত্রা করতে। আর জান্নাতে যাওয়ার সেই
প্রচেষ্টা মৃত্যু পর্যন্ত আপনি ছেড়ে দিবেন না নিজের স্বার্থেই, তাইনা?
স্বামী-স্ত্রী দু'জনের কিছু ভিন্নতা কিন্তু প্রত্যেকের জীবনে ভারসাম্য তৈরি
করে দেয়। মনোমালিন্য হলে সেই দুরত্বটুকুকে জোড়া লাগাতে উদ্যোগ নিয়ে ফেলুন।
নিজে থেকে সমস্যা সমাধান করতে প্রথমে এগিয়ে আসলে যদি তখন মনের মাঝে জেগে
ওঠা পরাজিত হবার টনটনে অনুভূতি, অহং বা দেমাগকে এই সুন্দরতম সম্পর্কতে
হিসেবে নিয়ে আসেন তবে আপনি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এই সম্পর্কটার
গোটাটাই আপনার --জীবনসঙ্গীর ভালো থাকা আসলে আপনারই ভালো থাকা। তাই দু'জনের
ভিন্নতাটুকুকে গ্রহণ করে নিন এবং অপরজনকে স্বস্তি দিতে একটু যদি
স্যাক্রিফাইস করতেই হয়, তবে করে ফেলুন। দেখবেন এটুকুর কারণে আপনি যেই আনন্দ
আর শান্তি উপভোগ করবেন তা আপনার ওটুকু কষ্টকে ভুলিয়ে আপনাকে অদ্ভুত সুন্দর
অনুভূতি দিবে। সুন্দর দাম্পত্য জীবনটা রেডিমেড পাওয়া যায় না, তাকে তিলে
তিলে গড়ে নিতে হয়। গড়ে ওঠা সেই শান্তির বাড়ির কারিগর কিন্তু মূলত আপনিই!
জ্বি, আপনি এবং আপনারা দু'জন...
একটা
সুখী দাম্পত্য জীবন পাওয়া খুব সহজ কাজ নয়। দু'টি ভিন্ন মানুষ, ভিন্ন
প্রাণ, ভিন্ন পরিবার, ভিন্ন মন হলেও কিছু মিল নিয়ে সংসার এগিয়ে চলে।
সংসারে দু'জন স্বামী-স্ত্রীর মাঝে তৃতীয়জন হলো শয়তান যে সবসময় সম্পর্কে
ভাঙ্গন ধরাতে চায়, রাগিয়ে দিতে চায়, স্বামী বা স্ত্রীকে পাপকাজে নিমজ্জিত
করে তাদের পবিত্র সম্পর্কে অপবিত্রতা প্রবেশ করাতে চায়। তাই আল্লাহ
সুবহানাহু ওয়া তা'আলার কাছে সাহায্য চাওয়া খুব প্রয়োজন। প্রতিদিন অনেকবার
করে আল্লাহর কাছে দোয়া করা উত্তম যেন তিনি এমন স্বামী/স্ত্রী ও সন্তান দান
করেন যাদের দেখে আপনার হৃদয় শীতল হয়, চোখ জুড়িয়ে যায়, অন্তরে শান্তি অনুভব
করবেন। আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত নিজের ঈমানের বৃদ্ধির জন্য, সৎকাজের
জন্য, হালাল রিযিকের জন্য। যেকোন কিছুর মাঝে সেরা জিনিসগুলো তো মূল্যবান ও
কষ্টার্জিতই হয়, তাইনা?
সংসার
জীবনে ভালোবাসাকে প্রাণবন্ত করে রাখতে হয়, ঠিক যেমন সুঘ্রাণময় ফুলকে আপনি
পানি দিয়ে আরো বেশি জীবন্ত করে রাখেন। দু'জন দু'জনকে জেনে-বুঝে তবেই তো
সঙ্গী করেছিলেন। সেই মানুষটি আপনার জন্য তার সবটুকু নিয়ে সংসার বেঁধেছেন।
ঘরে বাইরে যত রকম অভিজ্ঞতা হোক, হৃদয়ের প্রিয়তম কুঠুরিটা আপনার জন্যই তিনি
বরাদ্দ রেখেছেন। সন্দেহ আর অভিমানটুকু তুলে রেখে বাসুন না হয় আরেকটু ভালো।
আপনার ভালোবাসা আপনাকে ছোট করে দিবে না। আপনার ভালোবাসা তার কাছে আপনার ওজন
কমিয়ে দিবে না। ভুলত্রুটিটুকু এড়িয়ে যদি আপনি তাকে আরো ভালোবাসেন, সেটা
আপনাকে তার কাছে সম্মানিত এবং আরো প্রিয় করবে। আপনি ভালোবাসা পাওয়ার একটি
পথ তৈরি করতে পারলেন...
কী পাওয়া উচিত ছিলো সেই হিসেবের চেয়ে কী কী দেওয়া উচিত সেই হিসেব করলে সংসার জীবনটা অনেক বেশি মধুর হয়। আল্লাহকে খুশি করতে কষ্ট করলে তিনিই ইনশা আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিবেন। হৃদয়গুলোর মালিক তো কেবলই আল্লাহ, তাইনা?
১) খারাপ ব্যবহার করা : তাকে এমন কিছু নিয়ে ঠাট্টা করা যাতে সে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এমন ধমক দেয়া যা অন্যদের সামনে তার অসম্মান হয়ে যায়। তাকে অপমান করা আপনার প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধকে কমিয়ে দিবে।
২) উপেক্ষা করা : তার পছন্দ, ভালোলাগা কিংবা তার কথাবার্তাকে গোণায় না ধরা বা পাত্তা না দেয়া। হয়ত সে সালাম দিয়েছেন আপনাকে, আপনি উত্তর দিলেন না। বেশ কিছুদিন যাবৎ খুব আগ্রহ নিয়ে হয়ত সে কিছু বলছে কিন্তু আপনি বিশেষ কারণ ছাড়াই তার কথার পাত্তা দিচ্ছেন না।
৩) মিথ্যা বলা : কিছুতেই মিথ্যা বলা সঠিক নয়। আল্লাহ মিথ্যাকে নিষিদ্ধ করেছেন। আল্লাহ আমাদেরকে শয়তানের এই ওয়াসওয়াসা থেকে রক্ষা করুন। মিথ্যা আপনাদের পারস্পারিক বিশ্বাসকে ভেঙ্গে চুরমার করে দিবে।
৪) কথা দিয়ে কথা না রাখা : কথা দিয়ে কথা রাখা বা ওয়াদা রক্ষা করা একজন মু'মিনের বৈশিষ্ট্য। বিষয়টি দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষেত্রেও খুব গুরুত্বপূর্ণ।
৫) এড়িয়ে চলা : অনেকদিন পর দেখা হলে বন্ধুদেরকে বা ভাইদের আমরা জড়িয়ে ধরি, কোলাকুলি করি। আপনার স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরতে পারেন না? পারবেন, অস্বস্তি লাগলেও তা ভেঙ্গে ফেলুন। ভালোবাসার প্রকাশ থাকা খুবই প্রয়োজন।
৬) সন্দেহ ও গীবত করা : কখনো সন্দেহ করতে যাবেন না। সন্দেহ সম্পর্ককে ধ্বংস করে। আপনার জীবনসঙ্গী আপনার খুব কাছের মানুষ এটা সত্যি। কিন্তু খুঁতখুঁত করে যদি তার বিষয়ে অনেক ঘাঁটাঘাঁটি করেন, আপনি নিঃসন্দেহে হতাশ হবেন। মানুষ কখনো নিখুঁত নয়। আর মনে রাখবেন, প্রত্যেকে তার নিজ নিজ হিসাব দিবে। তাই সন্দেহ দূর করুন। স্বামী বা স্ত্রী একে অপরের চাদরস্বরূপ, ছোট-খাটো ভুলত্রুটি বা সীমাবদ্ধতা নিয়ে অন্যদের কাছে বলে বেড়াবেন না, গীবত করবেন না।
কুরআনুল কারীমে আল্লাহ বলেছেন :
"হে মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।" -- [আল হুজুরাত, ৪৯ : ১২]
৭) খুব বেশি ব্যস্ততা : অপরজনের জন্য কিছু সময় রাখবেন। পারস্পরিক কথাবার্তা আর সময়গুলো সম্পর্ককে প্রগাঢ় করে। তার প্রতি আপনার কর্তব্য রয়েছে, আপনার কিছু দায়িত্ব রয়েছে। কিছুটা সময় তিনি পাওয়ার অধিকার রাখেন। এই বিষয়টি খেয়াল রাখুন।
৮) নামাজ এবং অন্যান্য ইবাদাত না করা : যে ব্যক্তি আল্লাহর ইবাদাত না করে, নামাজ না পড়ে এবং আল্লাহর নির্দেশিত পথে না চলে, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট নন। নিয়মিত নামাজ না পড়া, অশ্লীল কাজ, হারাম উপার্জনগুলো থেকে সরে না আসার কারণে অনেক সংসার ভেঙ্গে গেছে। আল্লাহর প্রতি কর্তব্য পালনে অলসতা-উপেক্ষা করার কারণে মুসলিম সংসারে অত্যন্ত দ্রুত ভাঙ্গন ধরে যায়।
আল্লাহ আমাদেরকে ভুলত্রুটি ক্ষমা করুন এবং আমাদের সরল সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আমাদের পরিবারগুলোতে রাহমাত এবং বারাকাহ দান করুন।
স্ত্রীর যেসব গুণাবলীর কারণে স্বামীরা তাদের ভালোবাসেন
জীবনসঙ্গিনী একজন পুরুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উত্তম স্ত্রী
যিনি জীবনে পান, তিনি একজন ভাগ্যবান পুরুষ। তেমনি একজন স্ত্রীর কাছে যিনি
ভালো স্বামী তিনিই প্রকৃত উত্তম চরিত্রের মানুষ। একজন সফল ব্যক্তির পাশে
থাকেন তার সুযোগ্য সহযোদ্ধা, সহযাত্রী, বন্ধু হিসেবে তার স্ত্রী। সৎ এবং
চরিত্রবান স্ত্রী একজন পুরুষের জন্য এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। একজন
অসাধারণ জীবনসঙ্গিনীর অনেক উত্তম গুণাবলী হতে পারে, তার মধ্যে কয়েকটি হলো
--
১) স্বামী বাইরে থেকে ফিরলে সম্ভব হলে দরজাটা নিজেই খুলে দেন, একটি হাসি উপহার দিয়ে দু'জনের মাঝে শান্তিময় পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে দু'আ চেয়ে তাকে বলেন, "আসসালামু আলাইকুম।"
২) তার জীবনসঙ্গী কাজ শেষে বাসায় ফেরার পর তাকে ফ্রেশ হয়ে নিতে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো এগিয়ে দিন। একটু কষ্ট করে তার জন্য সময়মত খাবারটি পরিবেশন করেন। সুসংবাদটি তাড়াতাড়ি জানান এবং খারাপ সংবাদ থাকলে একটু সময় নিয়ে তারপর বলেন।
৩) স্বামীর নির্দেশনাগুলো শোনেন এবং সাধ্যমত চেষ্টা করেন যেন তাকে সন্তুষ্ট রাখা যায়। কোন বিষয় নিয়ে স্বামীকে কখনো চাপে রাখেন না বরং তার মনে শান্তি দেয়ার চেষ্টা করেন।
৪) যদি তার জীবনসঙ্গী মানুষটা কখনো তাকে কষ্ট বা আঘাত দিয়ে ফেলে, তিনি নিজেকে শান্ত রাখেন। খেপে যান না কেননা তিনি ধরেই নেন হয়ত তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে কষ্ট দিতে চাননি, অসতর্কতায় এমনটি হয়ে গেছে।
৫) জীবনসঙ্গীর ছোট ছোট ভুলগুলো তিনি এড়িয়ে যান এবং তার ভালো কাজগুলোকে উৎসাহিত করেন। তার পরিশ্রমের কাজগুলোর ব্যাপারে প্রশংসা করেন।
৬) নিজেকে পরিপাটি ও সুন্দর করে উপস্থাপন করেন স্বামীর সামনে যা তিনি অন্য কারো সামনে, কারো জন্য করেন না। সম্ভব হলে সুগন্ধি ব্যবহার করেন।
৭) সৌহার্দ্যপূর্ণ ভালোবাসার গলায় জীবনসঙ্গীর সাথে কথা বলেন। এই কোমল সুরে তিনি অন্য কোন পুরুষের সাথে কখনো কথা বলেন না। যাদের বিয়ে করা নিষিদ্ধ নয় এমন পুরুষদের সাথে যথাসম্ভব কোমলতাহীন কন্ঠে এবং সাধ্যমতন সংক্ষিপ্তভাবে কথা বলাই ইসলামের শিক্ষা।
৮) তার স্বামীর আয় থেকে অতিরিক্ত ব্যয় করেন না, অবর্তমানে তিনি তার সংসারের সবকিছু এমনভাবে দেখভাল করেন যেন স্বামীর অপছন্দের কিছু না ঘটে।
৯) জীবনসঙ্গী যখন খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যায়, তিনি তার পাশে থাকেন, ধৈর্যধারণ আর সদুপদেশ দিয়ে তাকে ধীরস্থির হয়ে সময় কাটিয়ে ওঠার পথে সাহায্য করেন।
১০) স্বামী তার প্রতি সঠিক আচরণ না করলেও ধৈর্য ধরেন, চেষ্টা করেন তাকে উত্তম উপায়ে তার প্রত্যুত্তর দিতে।
১১) শালীনতা রেখে উত্তম পোশাক পরেন যাতে কেননা পোশাকে রুচিবোধ ফুটে ওঠে। ঈমানের সাথে লজ্জার সম্পর্ক খুবই গভীর। যিনি যত বেশি ঈমানের অধিকারী/অধিকারিণী তার লজ্জাবোধ তত বেশি। একজন উত্তম মুসলিমাহ এসব বিষয়ে সচেতন দৃষ্টি রাখেন।
১২) সন্তানদের ইসলামিক জ্ঞানে বড় করে তুলতে সামর্থ্যের সর্বোচ্চটুকু করেন। নিজেও আন্তরিকভাবে ইসলাম সম্পর্কে শেখেন এবং স্বামী-স্ত্রী দু'জনে মিলে জীবনে ইসলামকে মেনে চলেন। বাবা-মায়ের আচরণ সন্তানদের প্রভাবিত করে, তাই বাবা-মায়েরা নিজেরাও সচেতন থাকেন নিজেদের ব্যক্তিগত চরিত্র, স্বভাব এবং আচরণ নিয়ে।
১) স্বামী বাইরে থেকে ফিরলে সম্ভব হলে দরজাটা নিজেই খুলে দেন, একটি হাসি উপহার দিয়ে দু'জনের মাঝে শান্তিময় পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে দু'আ চেয়ে তাকে বলেন, "আসসালামু আলাইকুম।"
২) তার জীবনসঙ্গী কাজ শেষে বাসায় ফেরার পর তাকে ফ্রেশ হয়ে নিতে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো এগিয়ে দিন। একটু কষ্ট করে তার জন্য সময়মত খাবারটি পরিবেশন করেন। সুসংবাদটি তাড়াতাড়ি জানান এবং খারাপ সংবাদ থাকলে একটু সময় নিয়ে তারপর বলেন।
৩) স্বামীর নির্দেশনাগুলো শোনেন এবং সাধ্যমত চেষ্টা করেন যেন তাকে সন্তুষ্ট রাখা যায়। কোন বিষয় নিয়ে স্বামীকে কখনো চাপে রাখেন না বরং তার মনে শান্তি দেয়ার চেষ্টা করেন।
৪) যদি তার জীবনসঙ্গী মানুষটা কখনো তাকে কষ্ট বা আঘাত দিয়ে ফেলে, তিনি নিজেকে শান্ত রাখেন। খেপে যান না কেননা তিনি ধরেই নেন হয়ত তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে কষ্ট দিতে চাননি, অসতর্কতায় এমনটি হয়ে গেছে।
৫) জীবনসঙ্গীর ছোট ছোট ভুলগুলো তিনি এড়িয়ে যান এবং তার ভালো কাজগুলোকে উৎসাহিত করেন। তার পরিশ্রমের কাজগুলোর ব্যাপারে প্রশংসা করেন।
৬) নিজেকে পরিপাটি ও সুন্দর করে উপস্থাপন করেন স্বামীর সামনে যা তিনি অন্য কারো সামনে, কারো জন্য করেন না। সম্ভব হলে সুগন্ধি ব্যবহার করেন।
৭) সৌহার্দ্যপূর্ণ ভালোবাসার গলায় জীবনসঙ্গীর সাথে কথা বলেন। এই কোমল সুরে তিনি অন্য কোন পুরুষের সাথে কখনো কথা বলেন না। যাদের বিয়ে করা নিষিদ্ধ নয় এমন পুরুষদের সাথে যথাসম্ভব কোমলতাহীন কন্ঠে এবং সাধ্যমতন সংক্ষিপ্তভাবে কথা বলাই ইসলামের শিক্ষা।
৮) তার স্বামীর আয় থেকে অতিরিক্ত ব্যয় করেন না, অবর্তমানে তিনি তার সংসারের সবকিছু এমনভাবে দেখভাল করেন যেন স্বামীর অপছন্দের কিছু না ঘটে।
৯) জীবনসঙ্গী যখন খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যায়, তিনি তার পাশে থাকেন, ধৈর্যধারণ আর সদুপদেশ দিয়ে তাকে ধীরস্থির হয়ে সময় কাটিয়ে ওঠার পথে সাহায্য করেন।
১০) স্বামী তার প্রতি সঠিক আচরণ না করলেও ধৈর্য ধরেন, চেষ্টা করেন তাকে উত্তম উপায়ে তার প্রত্যুত্তর দিতে।
১১) শালীনতা রেখে উত্তম পোশাক পরেন যাতে কেননা পোশাকে রুচিবোধ ফুটে ওঠে। ঈমানের সাথে লজ্জার সম্পর্ক খুবই গভীর। যিনি যত বেশি ঈমানের অধিকারী/অধিকারিণী তার লজ্জাবোধ তত বেশি। একজন উত্তম মুসলিমাহ এসব বিষয়ে সচেতন দৃষ্টি রাখেন।
১২) সন্তানদের ইসলামিক জ্ঞানে বড় করে তুলতে সামর্থ্যের সর্বোচ্চটুকু করেন। নিজেও আন্তরিকভাবে ইসলাম সম্পর্কে শেখেন এবং স্বামী-স্ত্রী দু'জনে মিলে জীবনে ইসলামকে মেনে চলেন। বাবা-মায়ের আচরণ সন্তানদের প্রভাবিত করে, তাই বাবা-মায়েরা নিজেরাও সচেতন থাকেন নিজেদের ব্যক্তিগত চরিত্র, স্বভাব এবং আচরণ নিয়ে।
স্বামীর যেসব গুণাবলীর কারণে স্ত্রীরা তাদের ভালোবাসেন
আমরা
জানি,আমাদের মাঝে সে ব্যক্তি ভালো যে তার স্ত্রীর কাছে ভালো। একজন পুরুষ
ভালো জীবনসঙ্গী হিসেবে তার স্ত্রীর কাছে ভালো স্বামী হতে পারেন নানান
উপায়ে। স্ত্রীর কাছে স্বামীরা যেসব গুণাবলীর কারণে ভালো হয় তার মাঝে
উল্লেখযোগ্য কিছু গুণ হলো --
১) স্ত্রীর প্রতি তিনি সুন্দর ব্যবহার করেন। উত্তম শব্দ ব্যবহার করে কথা বলেন। তার প্রতি তিনি নম্র ও দয়ার্দ্র থাকেন।
২) জীবনসঙ্গিনীর অধিকারের বিষয়গুলো তিনি অবহেলা করেন না, তা পরিপূর্ণভাবে পূরণ করতে চেষ্টা করেন।
৩)
বাইরে নানান কাজে থাকলেও অন্য কোন মহিলার ব্যাপারে তিনি আগ্রহী হন না।
দৃষ্টিকে সংযত রাখেন, হৃদয়েকেও অত্যন্ত সচেতনভাবে সতর্ক রাখেন।
৪) নিজে ইসলাম শিখেন নিয়মিত, স্ত্রীকে নিয়ে শিখেন এবং তাকে উৎসাহিত করেন। দু'জনে মিলে ইসলামকে পালনের চেষ্টা করেন।
৫) জীবনসঙ্গিনী যখন খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যায়, তিনি শক্ত অবলম্বন হয়ে তার পাশে থাকেন।
৬)
যদি তার স্ত্রী কখনো তাকে কষ্ট বা আঘাত দিয়ে ফেলে, তিনি নিজেকে শান্ত
রাখেন। খেপে যান না কেননা তিনি ধরেই নেন স্ত্রী হয়ত তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে কষ্ট
দিতে চাননি, অসতর্কতায় এমনটি হয়ে গেছে।
৭)
জীবনসঙ্গিনীর ছোট ছোট ভুলগুলো তিনি এড়িয়ে যান এবং তার ভালো কাজগুলোকে
উৎসাহিত করেন। তার পরিশ্রমের কাজগুলোর ব্যাপারে প্রশংসা করেন।
৮) ঘরের কাজগুলোতে স্ত্রীকে সাধ্যমতন সাহায্য করেন। তার জন্য কাজ ফেলে রেখে দেন না।
৯)
সন্তানদেরকে ইসলামিক জ্ঞানে এবং আচরণে বড় করার ব্যাপারে সচেতন থাকেন।
সন্তানদের ইসলামিকভাবে বড় করা নিয়ে চিন্তাভাবনা করে আলাপ করে স্ত্রীর সাথে।
বাবা-মায়ের আচরণ সন্তানদের প্রভাবিত করে, তাই বাবা-মায়েরা নিজেরাও সচেতন
থাকেন নিজেদের ব্যক্তিগত চরিত্র, স্বভাব এবং আচরণ নিয়ে।
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে ক্লান্তি ও বিরক্তি যখন আসে
বিয়ের পর থেকেই আপনার অস্তিত্বের সাথে আরেকটা মানুষ জুড়ে রয় প্রায়
প্রতিটি মূহুর্তেই। উপস্থিতিতেই থাকুন বা অলক্ষ্যেই থাকুন অপরজন আপনার
সত্ত্বার সাথে মিশেই থাকেন। স্বামী-স্ত্রী হওয়া এই দু'জন মানব-মানবী
পরস্পরের পরিপূরক। একজন মানুষ ব্যক্তিগতভাবে যতই অসাধারণ হন না কেন,
সৃষ্টিগতভাবে তার যেই সীমাবদ্ধতাগুলো, সেগুলোকে ঢেকে রাখেন সেই প্রিয়জনটি,
তিনি আপনার শারীরিক-মানসিক-আত্মিক অভাবগুলোকে মেটাতে সাহায্যকারী হবার
যোগ্যতা রাখেন। কিন্তু তবুও, মাঝে মাঝে সম্পর্কটির অনেক কিছুর কথা ভেবেই
নিজেকে যেন অনেক ক্লান্ত মনে হয়। মনে হতে পারে-- এত সব কষ্ট, এত আবেগ আর
পরিশ্রম আমার কি বিফলে যাচ্ছে? এরকম ক্লান্ত-শ্রান্ত হওয়া অনুভূতিগুলোকে
ভুল বুঝবেন না, এটা মানবিক। তবে এরকম ক্লান্তির সাথে ভর করে শয়তান কাজ করবে
আপনার উপরে। দাম্পত্য জীবনটাকে নিপুণ জীবন ধরে নিবেন না দয়া করে। এই
জীবনটা গড়ে নেয়ার, দু'জনে মিলে গড়ে তোলার।
জীবনসঙ্গীর জন্য আপনি ক্রমাগত অনেক পরিশ্রম করেন...আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য স্বামী/স্ত্রীর জন্য যে কষ্টটুকু,খরচটুকু আপনি করেন তার উত্তম প্রতিদান আল্লাহ নিশ্চয়ই দিবেন। কিন্তু তাই বলে মানসিক বা শারীরিক টায়ার্ডনেসের ফলে অপরজনের উপরে বিরক্তি বা নিজেদের সংসার বা সম্পর্কের উপরে বিরক্ত যদি হয়ে পড়েন--তাহলে মনে রাখবেন আপনি শয়তানের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছেন। মনে রাখবেন, এই মন এবং শরীরের স্রষ্টা যিনি--তার কাছেই শক্তি চাইতে হবে। আপনার স্বামী/স্ত্রীও দুর্বল;তিনিও একজন ভুলত্রুটি মেশানো একজন মানুষ। সম্পর্ককে তাজা রাখতে তাই আপনার নিজেরও তাজা থাকা প্রয়োজন। অনেকসময় আপনার নিঃশব্দ আলিঙ্গনটুকু আপনার জীবনসঙ্গী বা জীবনসঙ্গিনীকে অনেকখানি আশ্বস্ত করে, শক্তিশালী করে। সম্ভব হলে এই কাজটুকু কেন করবেন না?
যখন পরিশ্রান্ত লাগবে, আল্লাহর কাছে দোয়া করুন যেন তিনি আপনার অন্তরকে, শরীরকে, মনকে উদ্দীপ্ত করে দেন। দোয়া করুন যেন আল্লাহ আপনাদের দু'জনকে দু'জনার চক্ষুশীতলকারী সঙ্গী হিসেবে কবুল করেন। শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে সাবধান থাকবেন। স্বামী-স্ত্রীর পবিত্র সম্পর্কে ফাটল ধরিয়ে শয়তান একেকজনকে হতাশ করে দেয়, যা আরো অনেক পাপকাজের সূচনা করে। আল্লাহ আমাদের পরিবারগুলোতে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিন। আল্লাহ আমাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কগুলোকে শয়তানের কুমন্ত্রণা ও খারাপ মানুষের হিংসা থেকে রক্ষা করুন। আল্লাহ তো প্রেমময় ও ক্ষমাশীল।
জীবনসঙ্গীর জন্য আপনি ক্রমাগত অনেক পরিশ্রম করেন...আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য স্বামী/স্ত্রীর জন্য যে কষ্টটুকু,খরচটুকু আপনি করেন তার উত্তম প্রতিদান আল্লাহ নিশ্চয়ই দিবেন। কিন্তু তাই বলে মানসিক বা শারীরিক টায়ার্ডনেসের ফলে অপরজনের উপরে বিরক্তি বা নিজেদের সংসার বা সম্পর্কের উপরে বিরক্ত যদি হয়ে পড়েন--তাহলে মনে রাখবেন আপনি শয়তানের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছেন। মনে রাখবেন, এই মন এবং শরীরের স্রষ্টা যিনি--তার কাছেই শক্তি চাইতে হবে। আপনার স্বামী/স্ত্রীও দুর্বল;তিনিও একজন ভুলত্রুটি মেশানো একজন মানুষ। সম্পর্ককে তাজা রাখতে তাই আপনার নিজেরও তাজা থাকা প্রয়োজন। অনেকসময় আপনার নিঃশব্দ আলিঙ্গনটুকু আপনার জীবনসঙ্গী বা জীবনসঙ্গিনীকে অনেকখানি আশ্বস্ত করে, শক্তিশালী করে। সম্ভব হলে এই কাজটুকু কেন করবেন না?
যখন পরিশ্রান্ত লাগবে, আল্লাহর কাছে দোয়া করুন যেন তিনি আপনার অন্তরকে, শরীরকে, মনকে উদ্দীপ্ত করে দেন। দোয়া করুন যেন আল্লাহ আপনাদের দু'জনকে দু'জনার চক্ষুশীতলকারী সঙ্গী হিসেবে কবুল করেন। শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে সাবধান থাকবেন। স্বামী-স্ত্রীর পবিত্র সম্পর্কে ফাটল ধরিয়ে শয়তান একেকজনকে হতাশ করে দেয়, যা আরো অনেক পাপকাজের সূচনা করে। আল্লাহ আমাদের পরিবারগুলোতে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিন। আল্লাহ আমাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কগুলোকে শয়তানের কুমন্ত্রণা ও খারাপ মানুষের হিংসা থেকে রক্ষা করুন। আল্লাহ তো প্রেমময় ও ক্ষমাশীল।
রাগারাগি করে আমরা আমাদের পরিবারের শান্তিকে ধ্বংস করি
জীবনসঙ্গী বা জীবনসঙ্গিনীর সাথে রাগারাগি করে আমরা আমাদের শান্তিকে
ধ্বংস করি। রাগ হলে শয়তান আপনার উপরে আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করে। ছোট্ট
একটা ব্যাপারকে আপনার কাছে অনেক বড় মনে হবে, আপনি এমন সব কথা বলে বসবেন
যা হয়ত ভুল করে ফেলা আপনার স্বামী বা স্ত্রীর অন্তরকে এফোঁড়-ওফোঁড় করে
দেবে। আপনার রাগের মাথায় বলে ফেলা কথা আপনার মাঝে দুরত্ব তৈরি করে দিবে,
পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ কমিয়ে দিবে। এমন সব স্মৃতির জন্ম দিবে দু'জনের
মনের মাঝে যা পরবর্তীতে বুকে কাঁটা হয়ে বিঁধবে। তাই রাগ করবেন না। সমস্যা
তৈরি হলে আলোচনা করুন। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে চিড় ধরাতে পারলে শয়তান প্রচন্ড আনন্দিত হয়, সে এমন প্রচেষ্টায় লিপ্ত থাকে যেন ছোট্ট ভুলকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রী রাগারাগি করে পারস্পরিক অশান্তি তৈরি করে এবং ফলশ্রুতিতে যেন বড় বড় অন্যায় এবং পাপের জন্ম হবার সুযোগ তৈরি হয়। আল্লাহর কাছে সবসময় দোয়া করুন যেন আল্লাহ আপনাদের সম্পর্ককে যাবতীয় অকল্যাণের হাত থেকে রক্ষা করেন। রাগ হলে কথা না বলে সংযত হোন। আপনার পছন্দ/অপছন্দ এবং ইগোর চেয়ে আপনাদের সম্পর্কটিকে মূল্য দিন। চিৎকার করবেন না, বাজে শব্দ ব্যবহার করবেন না। মনে রাখবেন, রাগান্বিত হয়ে আপনি যা করবেন সবই অকল্যাণকর হবে। আল্লাহ আমাদের রাগ সংযত করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহ আমাদের পরিবারগুলোকে অন্যায় ও অকল্যাণের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখুন।
একই প্রাণ, একই আত্মা কেবলই গল্প-উপন্যাস -মুভির বিষয়
একটা সুখী দাম্পত্য জীবন খুব সহজ কাজ নয়
পরস্পরের প্রতি চাওয়া ও ভালোবাসা নিয়ে একটা সুন্দর কিউট চিঠি!
এক সুন্দর দম্পতির পরস্পরের প্রতি চাওয়া ও ভালোবাসা নিয়ে একটা সুন্দর কিউট চিঠি! <3
...
তোমাকে জীবনের সাথে যেদিন থেকে বেঁধে নিয়েছি সঙ্গী করে, প্রতিদিন দোয়া করি--
তুমি যেন সুস্থ থাকো, যেন শান্তি পাও তোমার জীবনে।
আল্লাহ যেন তোমাকে জান্নাতী হবার যোগ্যতা দেন।
আমি যেন তোমার দেখাশোনা ও সেবা করতে পারি।
আমি যেন তোমার সহযোগীর দায়িত্বটুকু পালন করতে পারি।
আমি যেন তোমার হাসিমুখ থাকার কারণ হতে পারি।
আমি যেন তোমার সাথে খারাপ আচরণ না করি।
আমি যেন তোমার চোখের অশ্রু না ঝরাই।
যেন দু'জন দু'জনার সাথে রাগ করে শয়তানকে খুশি না করি।
আমি যেন তোমার সাথে অন্যায় না করি।
আল্লাহ যেন আমাদের সুসন্তান দান করেন।
আমাদের সন্তানেরা যেন দুনিয়ার জন্য কল্যাণস্বরূপ হয়।
আমাদের সন্তানেরা যেন মু'মিন, মুত্তাকী ও মুজাহিদ হয়।
আমরা যেন হায়াতান তাইয়্যেবা লাভ করি।
আমরা যেন দু'জন দু'জনার ঈমান বৃদ্ধি হবার কারণ হই।
আল্লাহ যেন জান্নাতেও আমাদেরকে একসাথে থাকার তাওফিক দেন।
আল্লাহ যেন আমাদের উপরে সন্তুষ্ট থাকেন।
...
তোমাকে জীবনের সাথে যেদিন থেকে বেঁধে নিয়েছি সঙ্গী করে, প্রতিদিন দোয়া করি--
তুমি যেন সুস্থ থাকো, যেন শান্তি পাও তোমার জীবনে।
আল্লাহ যেন তোমাকে জান্নাতী হবার যোগ্যতা দেন।
আমি যেন তোমার দেখাশোনা ও সেবা করতে পারি।
আমি যেন তোমার সহযোগীর দায়িত্বটুকু পালন করতে পারি।
আমি যেন তোমার হাসিমুখ থাকার কারণ হতে পারি।
আমি যেন তোমার সাথে খারাপ আচরণ না করি।
আমি যেন তোমার চোখের অশ্রু না ঝরাই।
যেন দু'জন দু'জনার সাথে রাগ করে শয়তানকে খুশি না করি।
আমি যেন তোমার সাথে অন্যায় না করি।
আল্লাহ যেন আমাদের সুসন্তান দান করেন।
আমাদের সন্তানেরা যেন দুনিয়ার জন্য কল্যাণস্বরূপ হয়।
আমাদের সন্তানেরা যেন মু'মিন, মুত্তাকী ও মুজাহিদ হয়।
আমরা যেন হায়াতান তাইয়্যেবা লাভ করি।
আমরা যেন দু'জন দু'জনার ঈমান বৃদ্ধি হবার কারণ হই।
আল্লাহ যেন জান্নাতেও আমাদেরকে একসাথে থাকার তাওফিক দেন।
আল্লাহ যেন আমাদের উপরে সন্তুষ্ট থাকেন।
সংসার জীবনে ভালোবাসাকে প্রাণবন্ত করে রাখতে হয়
কী পাওয়া উচিত ছিলো সেই হিসেবের চেয়ে কী কী দেওয়া উচিত সেই হিসেব করলে সংসার জীবনটা অনেক বেশি মধুর হয়। আল্লাহকে খুশি করতে কষ্ট করলে তিনিই ইনশা আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিবেন। হৃদয়গুলোর মালিক তো কেবলই আল্লাহ, তাইনা?
To visit detailed more:
Source: http://dampotto.blogspot.com/
No comments:
Post a Comment